ভূঁইয়া আশিক : [২] শীতে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে দেশবাসী ও প্রশাসনকে সঠিক সময়ে যথার্থ আগাম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটিই অভিমত দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। তার মতে, প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে যে ধরনের সমন্বয় দরকার, তা যেন ‘রেজাল্ট-বেইজড’ করা যায়, তার একটা রূপরেখা তৈরি প্রয়োজন। প্রত্যেক বিভাগকে যুক্ত করে এই কাজটি খুব দ্রুত করে ফেলা দরকার।
[৩] প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য অনেক। এটা সম্ভব হয়েছে দেশের মানুষের লড়াই করার মানসিকতা এবং সরকারের দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য যেসব স্থায়ী নির্দেশনা আছে, তা কাজে লাগানোর কারণে। একইসঙ্গে রয়েছে নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা।
[৪] দুর্যোগ মোকাবেলায় অতীত অভিজ্ঞতা করোনা মহামারিতে কাজে লাগাতে পারলে সমাজে একধরনের ‘আত্মবিশ^াস’ তৈরি হবে। এতে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, কৃষকসহ সবার মধ্যেই একধরনের আস্থার পরিবেশ তৈরি হবে।
[৫] স্বাস্থ্য বিভাগের উপর নজর রাখতে হবে, চিকিৎসকদের পেশাদারিত্ব নিয়ে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়। তারা যেন সঠিকভাবে চিকিৎসা করতে পারেন, কর্মপরিবেশটা যাতে ভালো থাকে।
[৬] শীতের করোনা প্রকোপ মোকাবেলায় হাসপাতালগুলো নতুন করে এখনই সজ্জিত করা দরকার। আইসিইউ বাড়ানো প্রয়োজন। অক্সিজেন ফ্যাসিলিটি বাড়ানো উচিত। সম্ভাব্য যা কিছু দরকার, সংকট মোকাবেলার জন্য তা পুরোপুরি প্রস্তুত রাখতে হবে। এ সবকিছু ঠিকঠাক মতো বাস্তবায়ন করতে পারলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও অর্থনীতি সচল থাকবে।