সমীরণ রায়: [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত ‘তথ্য অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা ও দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শত চাপ ও প্রতিবন্ধকতা স্বত্ত্বেও সাংবাদিকরা যদি সততা ও সাহসের সঙ্গে কাজ করেন তাহলে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হবে। প্রকৃত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমেই জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
[৩] অধ্যাপক আফসান চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যম এখন নিজেকে সংবাদমাধ্যম হিসেবে না ভেবে উপরাজনৈতিক শক্তি হিসেবে ভাবছে। তারা অনুসন্ধানী না হয়ে এখন হেডলাইন নির্ভর। গণমাধ্যমকর্মীদের সফল হওয়ার চেষ্টা নেই, তারা প্রস্তুত না, এমনকি মালিকপক্ষও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয় না। এ থেকে বের হতে না পারলে গণমাধ্যমকর্মীরা দায়িত্ব পালনে সফল হবে না।
[৪] টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নে সরকারকে সাধুবাদ জানানো গেলেও আইনের বাস্তবায়নে একাংশের মানসিকতা হলো-‘তথ্য হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি’। এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতেই থাকবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাবানদের সমালোচনা সইবার সৎ সাহসের ঘাটতি থাকায় তথ্য প্রকাশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
[৫] সোমবার টিআইবি আয়োজিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব