রাশিদুল ইসলাম : [২] যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করতে সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করেছে ভারত ও ইসরায়েল। ইসরায়েলি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের প্রযুক্তিতে তৈরি সশস্ত্র হেরন ড্রোন লাদাখ সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে। পাশাপাশি, ইসরায়েলি স্পাইডার মিসাইলও রয়েছে ভারতের হাতে। বালাকোটের জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছিল যে ইলেকট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর বসানো স্পাইস বোমা ইসরায়েলের কাছ থেকেই কিনেছিল ভারত।
[৩] ভারত ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সচিব ও সামরিক অস্ত্র নির্মাণ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই দেশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করে নেবে। সমরাস্ত্র উৎপাদন, টেকনিক্যাল সিকিউরিটি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে উন্নতমানের অস্ত্র তৈরি হবে দুই দেশেই। যুদ্ধান্ত্র তৈরির পাশাপাশি তা অন্য দেশে প্রয়োজনে রফতানিও করা হবে।
[৪] দুই দেশের উদ্যোগে তৈরি এই সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সঞ্জয় জাজু এবং ইসরায়েলের ইয়াল ক্যালিফ। সঞ্জয় জাজু বলেছেন, ইসরায়েল গত কয়েক দশক ধরেই মিসাইল, সাইবার-সিকিউরিটি ও বিভিন্ন রকমের ডিফেন্স সাব-সিস্টেমে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল এয়ার ডিফেন্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
[৫] ইসরায়েলের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ‘বারাক-৮’ ক্ষেপণাস্ত্রের তিনটি সংস্করণ উৎপাদন হচ্ছে ভারতে। এ জন্যে ভারতের সেনাবাহিনী ১৬,৮৩০ কোটি, বিমান বাহিনী ১০,০৭৬ কোটি এবং নৌবাহিনী ২,৯০৬ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে। স্পাইডার কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ২০০৮ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। ২০১২ সাল থেকে এই মিসাইল ভারত হাতে পায়। যে কোনও এয়ারক্রাফ্ট, হেলিকপ্টার, ড্রোনকে ঘায়েল করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
[৬] মাঝারি পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ইসরায়েলি অ্যারোস্পেসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আধুনিকীকরণ করেছে ডিআরডিও। এতে রয়েছে কম্যান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেম, ট্র্যাকিং রাডার, মিসাইল ও মোবাইল লঞ্চার সিস্টেম।