শিরোনাম
◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না ◈ একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন ◈ বিশেষজ্ঞরা চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন: আলী রীয়াজ ◈ শেখ হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ করেছেন কর গোয়েন্দারা ◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান!

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে চার শিক্ষার্থীর ৩৫০ কি.মি. পরিভ্রমণ

অপূর্ব চৌধুরী: [২]‘নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ ক্লাবের উদ্যোগে ৩৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর প্রতি সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে তাদের এই আয়োজন।

[৩] ১১ দিনের এই পরিভ্রমণ চলতি মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শুরু হয়। এরপর মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল হয়ে শমসের নগর, কুলাউড়া, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট, জাফলং, বিছনাকান্দি, কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর, লালপুর পরিভ্রমণ করেন।

[৪] পরিভ্রমণটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ’ ক্লাবের প্রধান সংগঠক মাসফিকুল হাসান টনি। তিনি বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার সহযাত্রী হিসেবে ছিলেন -ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া রাফা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিশ্বনাথ ভৌমিক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুস্তাকিম রহমান।

[৫] পরিভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দলনেতা মাসফিকুল হাসান টনি বলেন, পরিভ্রমণ আমাদের দেশে একদমই নতুন নয়। তবে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেশ কম। তাছাড়া ভ্রমণকারীদের মাঝে এ ধরনের ভ্রমণ সম্পর্কিত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। অন্যান্য ভ্রমণ মাধ্যমের তুলনায় হাইকিং বেশ ভিন্ন। হাইকিং বা পরিভ্রমণ বেশ রোমাঞ্চকর, কষ্টকর এবং অভিজ্ঞতা অর্জন ও জানার বিশেষ মাধ্যম ও বটে। উক্ত ভ্রমণটির মধ্যে দিয়ে দলের সদস্যরা শিখেছে সময়ানুবর্তিতা, তাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হাল ছেড়ে না দেয়ার মানসিকতা, যে কোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে শান্ত থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, ধৈর্যশীল হওয়া, অন্যের সাথে মিলে মিশে চলা ইত্যাদি। ১১ দিন নানান ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে কেটেছে সময়। প্রতিদিনের পরিবেশ, রাত কাটানোর জায়গা সবই থাকতো ভিন্ন। যাত্রাপথে হয়েছে অনেক নতুন বন্ধু। অনেক মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখার এবং জানার সৌভাগ্য হয়েছে।

[৬] হাইকিং নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের ভ্রমণ রুট দিয়ে আগে কেউ পরিভ্রমণ করেছে কিনা জানিনা। না করে থাকলে আমরাই প্রথম এক্সপ্লোর করলাম রুটটি। আমি জনপ্রিয়তা লাভের জন্য কখনো কোনো কাজ করি না। সেটা থিয়েটার হোক, সাধারণ ভ্রমণ হোক কিংবা হাইকিং হোক।অনেক ছোট থেকেই হাটাঁহাটি বেশ ভালো লাগে। তারপরে যখন হাইকিং সম্পর্কে জানতে পারি তখন ভালো লাগাটা আরো বেড়ে যায়। স্বপ্ন একজন বিশ্ব মানের হাইকার হবার। খুব শীঘ্রই আমরা ক্রস কান্ট্রিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিভ্রমণ অভিযান চালিয়ে যাবো। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়