রাশিদ রিয়াজ : বলা হচ্ছে কোভিড মন্দার কারণে আরব দেশগুলো ফিলিস্তিনকে সহায়তা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু একই সময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে এসব দেশে নতুন অর্থনৈতিক দিগন্তের উম্মোচন করছে বলে দাবি করছে। জেরুজালেম পোস্ট
মিসর, ইসরায়েল, গ্রিস, সাইপ্রাস, ইতালি, জর্ডান ও ফিলিস্তিন কায়রোতে গত বৃহস্পতিবার জালানি সহযোগিতা চুক্তিতে প্রথমবারের মত স্বাক্ষর করার পর ইসরায়েলের জালানি মন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিৎজ বলেছেন ইসরায়েলের গ্যাস জর্ডান ও মিসরে রফতানি করেই আয় হবে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এটা পরিস্কার অনুধাবন করছেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় তাদের প্রতি আরবদেশগুলোর সহায়তা আরো কমবে। গত মার্চ থেকে তারা আরব দেশগুলোতে থেকে কোনো সহায়তা পাননি। অন্যান্য দেশ থেকেও সহায়তা একই সময়ে কমেছে ৫০ শতাংশ। আর মোট সহায়তা কমেছে ৭০ শতাংশ।
গত বছর প্রথম সাত মাসে ফিলিস্তিন সহায়তা পেয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার। এবছর একই সময়ে তা নেমেছে ২৫৫ মিলিয়নে। আরবদেশগুলোর গতবছর ২৬৭ মিলিয়ন ডলার দিলেও এবছর এপর্যন্ত দিয়েছে মাত্র ৩৮ মিলিয়ন ডলার। ফিলিস্তিনি অর্থমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি বলেন অধিকাংশ আরব দেশ ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে ফিলিস্তিনের ওপর অবরোধ আরোপের পর আরব সম্মেলনে যে ১’শ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় তা মানছেন না। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আরব ধনীদেশগুলোকে এধরনের সহায়তা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
এ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে আর্থিক সহায়তা পেতে নতুন উৎস খুঁজতে হচ্ছে। ইউরোপীয় সংসদ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেছে কি পরিমান অর্থ ফিলিস্তিনিদের হাতে যাচ্ছে। আইন করে এধরনের সহায়তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউরোপ থেকে বছরে অন্তত ৫০ মিলিয়ন ইউরো ফিলিস্তিনিদের সহায়তা হিসেবে আসে।