শিরোনাম
◈ গণভোট আগে না হলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না: তাহের ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শেষ, রায়ের দিন ধার্য হবে কাল ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলে সংসদের ক্ষমতাকে খর্ব করবে কিনা, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ◈ সচল ১৬ স্থলবন্দরে ১ কোটি ৫২ লাখ টন পণ্য আমদানি, ৮ বন্দর নিষ্ক্রিয় ◈ ধর্ষকের সঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর বিয়ে বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট ◈ ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে উৎসবমুখর, জার্মান রাষ্ট্রদূতকে প্রধান উপদেষ্টা ◈ ১২ নির্দেশনা মানতে হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে  ◈ সরকারের দলীয় উপদেষ্টা ও প্রশাসনের ব্যক্তিদের বদলাতে হবে: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ◈ এএফ‌সি কা‌পের বাছাই‌য়ে ভারতের বিরু‌দ্ধে খেলার আ‌গে আফগানিস্তানের স‌ঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ◈ ট্রফির দরকার হ‌লে পু‌রো দল দুবাই এসে নিয়ে যাও, ভারতের মেইলের জবাবে এ‌সি‌সি প্রধান মহ‌সিন নাকভি

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:২৬ সকাল
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন : বিশ্বের কোন সভ্য দেশে ভিসি নিয়োগ মন্ত্রণালয় দেয় না

অধ্যক্ষ নেই ১৪১ সরকারি কলেজে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডুয়েটে হয় ভিসি নেই, নাহয় প্রোভিসি নেই কিংবা treasurer অথবা কোনটিই নেই। এই দায় কার? শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা মন্ত্রীর। ইদানিং একটি জিনিস লক্ষণীয়। সরকার কিংবা মন্ত্রণালয় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে বেশ আগ্রহী। এর কিছু কারণ আছে। ভারপ্রাপ্তরা ভারহীন হওয়ার বিরামহীন চেষ্টায় থাকে ফলে তারা বেশ প্রভুভক্ত হয়। এইটা তাদের জন্য সকল দিক দিয়েই লাভবান করে। এরই ধারাবাহিকতায় নামতে নামতে এইবার একেবারে একজন রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়ে বসে আছেন। কত বড় দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এইরকম একজনকে ভিসির দায়িত্ব দেয় কল্পনা করতে পারেন? আর দেশে এখন এত এত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে যে যোগ্য ভিসি পাওয়াও দুস্কর হয়ে পরেছে।

এর সমাধান কি? দেশের উচ্চশিক্ষাকে মন্ত্রণালয়মুক্ত করতে হবে। সমাধানের কথা বলার আগে সমস্যার কথা আগে বলতে ও বুঝতে হবে। সমস্যা হলো বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের মূল কাজটি করে মন্ত্রণালয়। এখন ব্যাপারটা খেয়াল করুন। এরা কাদের নিয়োগ দেয়? যারা তাদের চেয়ে উচ্চ জ্ঞান ও যোগ্যতাসম্পন্ন সেই মানুষদের নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়। এটা যেন লাইনকে বলা হলো তুমি বর্গক্ষেত্র কিংবা আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল মাপ। এটা কি সম্ভব? এইটা যেমন সম্ভব না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মন্ধে যাদের ধারণা নেই তাদেরকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া ঠিক ওই লাইন দিয়ে বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল মাপার মত হবে। কারণ যিনি ভিসি হবেন তার একাডেমিক credentials সঙ্গত কারণেই সরকারের যেকোন আমলা থেকে অনেক অনেক বেশি হাওয়াই বাঞ্চনীয়।

আরেকটি সমস্যা হলো সরকারের কি চায়? ধরুন কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ খালি হলো। সরকার কেমন শিক্ষককে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য খুঁজবে? সে চাইবে তার দলের নিবেদিত প্রভুভক্ত একজন শিক্ষককে। আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চায় সরকারকে খুশি করতে। এই দুইয়ে মিলে এমন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে ভিসি মানেই যেন academically প্রায় সবচেয়ে অযোগ্য একজন ব্যক্তিকে খুঁজে নিয়োগ দেওয়া। বিশ্বের কোন সভ্য দেশে ভিসি নিয়োগ মন্ত্রণালয় দেয় না। এইটার জন্য একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান একাডেমিসিয়ানদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। তারা নানা দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে একজনকে খুঁজে বের করে যেখানে আঞ্চলিকতা, দলান্ধতা ইত্যাদি কোন বিষয় কাজ করে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়