শিরোনাম
◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI ◈ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে ◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে ◈ জাতিসংঘের এলডিসি উত্তরণের পথে বাংলাদেশ, সতর্ক থাকবার বার্তা তারেক রহমানের

প্রকাশিত : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:২৬ সকাল
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন : বিশ্বের কোন সভ্য দেশে ভিসি নিয়োগ মন্ত্রণালয় দেয় না

অধ্যক্ষ নেই ১৪১ সরকারি কলেজে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ডুয়েটে হয় ভিসি নেই, নাহয় প্রোভিসি নেই কিংবা treasurer অথবা কোনটিই নেই। এই দায় কার? শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা মন্ত্রীর। ইদানিং একটি জিনিস লক্ষণীয়। সরকার কিংবা মন্ত্রণালয় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাতে বেশ আগ্রহী। এর কিছু কারণ আছে। ভারপ্রাপ্তরা ভারহীন হওয়ার বিরামহীন চেষ্টায় থাকে ফলে তারা বেশ প্রভুভক্ত হয়। এইটা তাদের জন্য সকল দিক দিয়েই লাভবান করে। এরই ধারাবাহিকতায় নামতে নামতে এইবার একেবারে একজন রেজিস্ট্রারকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়ে বসে আছেন। কত বড় দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে এইরকম একজনকে ভিসির দায়িত্ব দেয় কল্পনা করতে পারেন? আর দেশে এখন এত এত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে যে যোগ্য ভিসি পাওয়াও দুস্কর হয়ে পরেছে।

এর সমাধান কি? দেশের উচ্চশিক্ষাকে মন্ত্রণালয়মুক্ত করতে হবে। সমাধানের কথা বলার আগে সমস্যার কথা আগে বলতে ও বুঝতে হবে। সমস্যা হলো বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের মূল কাজটি করে মন্ত্রণালয়। এখন ব্যাপারটা খেয়াল করুন। এরা কাদের নিয়োগ দেয়? যারা তাদের চেয়ে উচ্চ জ্ঞান ও যোগ্যতাসম্পন্ন সেই মানুষদের নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়। এটা যেন লাইনকে বলা হলো তুমি বর্গক্ষেত্র কিংবা আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল মাপ। এটা কি সম্ভব? এইটা যেমন সম্ভব না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মন্ধে যাদের ধারণা নেই তাদেরকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া ঠিক ওই লাইন দিয়ে বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল মাপার মত হবে। কারণ যিনি ভিসি হবেন তার একাডেমিক credentials সঙ্গত কারণেই সরকারের যেকোন আমলা থেকে অনেক অনেক বেশি হাওয়াই বাঞ্চনীয়।

আরেকটি সমস্যা হলো সরকারের কি চায়? ধরুন কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ খালি হলো। সরকার কেমন শিক্ষককে ওই পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য খুঁজবে? সে চাইবে তার দলের নিবেদিত প্রভুভক্ত একজন শিক্ষককে। আর মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চায় সরকারকে খুশি করতে। এই দুইয়ে মিলে এমন একটা অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে ভিসি মানেই যেন academically প্রায় সবচেয়ে অযোগ্য একজন ব্যক্তিকে খুঁজে নিয়োগ দেওয়া। বিশ্বের কোন সভ্য দেশে ভিসি নিয়োগ মন্ত্রণালয় দেয় না। এইটার জন্য একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান একাডেমিসিয়ানদের নিয়ে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। তারা নানা দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে একজনকে খুঁজে বের করে যেখানে আঞ্চলিকতা, দলান্ধতা ইত্যাদি কোন বিষয় কাজ করে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়