রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সিএজি) অভিযোগ তুলেছে ২০১৫ সালে ৩৬টি রাফায়েল কেনার প্রস্তাব অনুযায়ী দাসো উন্নত প্রযুক্তির ৩০ শতাংশ তুলে দেয়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] ইতিমধ্যে ভারতে ৫টি রাফায়েল আসার পর তা লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার ভারতের সংসদ অধিবেশনে সিএজি জানায় দাসো অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ চুক্তি করেছিল রাফাল যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি দিয়েও সাহায্য করবে ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ডিআরডিও)। কিন্তু সেই চুক্তির শর্ত তারা পূরণ করেনি।
[৪] ফলে যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি, উন্নত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা এখন বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ রাফায়েল চুক্তির পরে তাদের আর সেই দায়বদ্ধতা দেখা যাচ্ছে না।
[৫] ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে দাসো অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ ফ্রান্সের সঙ্গে ৫৮ হাজার ৮৯১ কোটি রুপির বিনিময়ে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত সরকার। এই রাফায়েল চুক্তিতে অনীল আম্বানির কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। রাফায়েল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মোদী সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।
[৬] ভারতের ডিআরডিও তাদের তৈরি লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের জন্য কাবেরী ইঞ্জিন তৈরির ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল দাসোর কাছে। কিন্তু এখনও সেই প্রযুক্তি পায়নি ভারত। সিএজি-র দাবি, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ফের চুক্তির শর্ত পর্যালোচনা করুক।
আপনার মতামত লিখুন :