শাহাদাৎ হোসেন: [২] গত সোমবার রাতে একাত্তর টিভির অনুষ্ঠানে ‘একাত্তর জার্নাল’ র্যাবের পরিচালক লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং কর্নেল আশিক বিল্লাহ এই কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, রাজধানীর তুরাগ এলাকাতে একটি গোয়েন্দা দল বেশ কিছুক্ষণ ধরে কাজ করছিলো। মূলত গোয়েন্দা দলের কাছে কিছু তথ্য আছে যেটা কিনা পারস্পরিক সংঘর্ষিক। আমরা দেখে প্রথমে মনে করেছি মালেক সাহেব একজন পরহেজগার মানুষ। যে কিনা এলাকাতে হাজী সাহেব নামে পরিচিত। যেটা আমরা দেখতে পেয়েছি, তার এলাকাতে একটা চাঁদাবাজি গ্রুপ রয়েছে এবং তার আয়ের সাথে ব্যয়ের বিস্তার ফারাক।
[৪] তিনি আরো বলেন, এই রকম একটি প্রেক্ষাপটে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। মূলত আমরা ফৌজদারি তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ তারিখ রাতে অভিযান চালাই। তার বাসা থেকে একটা অবৈধ পিস্তল, ম্যাগজিন এবং দেড় লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করি। র্যাব যখন কাউকে গ্রেপ্তার করে, তার প্রেক্ষাপট থাকে ফৌজদারি অপরাধ। ওই পটভূমিতেই আব্দুল মালেককে র্যাব তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে।
[৫] আশিক বিল্লাহ বলেন, এর পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি যে তথ্য দিয়েছে সেটি পিলে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য। তার যে বিপুল বাড়ি, ফ্লাট, গবাদি পশুর ফার্ম এছাড়াও সরকারি সম্পত্তির ব্যবহার এই ধরনের বেশ কিছু তথ্য তিনি আমাদের দিয়েছেন। মূলত র্যাব তাকে দুর্নীতির বিষয়ে কখনই তদন্ত করছেনা বা করবে না। এটি মূলত ফৌজদারি আইন লঙ্ঘন হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে র্যাব অভিযান পরিচালনা করে। এই ধরনের অভিযান র্যাবের নিয়মিত অংশ।
[৬] আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আব্দুল মালেক যে কাজটি করেছেন সেটার তদন্ত কাজ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন, সিআইডির মানিলন্ডরিং ডিভিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কাজ। সুতরাং তারা কাজ করে বের করবে তার পিছে কারা পৃষ্ঠপ্রশক ছিলো, কারা তাকে সহযোগিতা করেছে এই বিষয়গুলি বের হয়ে আসবে।
[৭] তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকেই তার উত্থান শুরু। ২০০৯ সালে প্রায় শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারি পদে সারাদেশ ব্যাপি উপজেলা পর্যায়ে নিয়োগ হয়। এই নিয়োগ পর্যায়ে উনি সরাসরি একধরনের নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এইক্ষেত্রে তিনি তৎকালিন মহাপরিচালোক অধ্যাপক শাহ্ মনিরের কথাও জানিয়েছেন। সুতরাং সে যে তথ্য দিয়েছেন সেই গুলো যাচাই বাছাই করে তদন্ত কারি কর্মকর্তা যিনি হবেন তিনি বিষয়গুলো আমলে নিবেন। সম্পাদনা: মহসীন বাচ্চু