মির্জা ইয়াহিয়া: করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের দেশের ফুটবল মাঠ এখনো স্থবির হয়ে আছে। কিন্তু এই অঙ্গনে পরিস্থিতি জমজমাট হয়ে পড়েছে। কারণ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচন। একাধিক প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে একটি বিষয় দেখছি, যারা বড় বড় পদে নির্বাচন করছেন, তারা একসময় আমার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। টানা চতুর্থবার সভাপতি হতে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সেই সত্তর দশকের মাঝামাঝি তার কারণেই আমার ফুটবল প্রেম শুরু। তার জন্যই আবাহনীর একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে যাই। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকতা জীবনে আশির দশকের শেষদিকে সালাউদ্দিনকে নিয়ে আমি অনেক লিখেছি। তার বাসায় পর্যন্ত যাওয়া হয়েছিলো। সত্তর-আশির দশকের আরেক মাঠ কাঁপানো তারকা বাদল রায়। তিনি সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে সভাপতি পদে মাঠে আছেন সাবেক জনপ্রিয় ফুটবলার ও বর্তমান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। আশির দশকে ঢাকার ফুটবলে তিনিও ছিলেন বড় তারকা। কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। তার ফুটবল জীবনও কম বর্নাঢ্য নয়।
আশির দশকে তার অসাধারণ অনেক ম্যাচ মাঠ থেকে দেখেছি। সাংবাদিকতার কারণে তার সঙ্গেও দেখা হয়েছে। লেখালেখিও করেছি। এবারের নির্বাচনে আবদুস সালাম মুর্শেদীর প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিপরীত প্যানেল থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। দেশের ফুটবলের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন তিনি। গোলের অনেক রেকর্ড এখনো তারই দখলে। আশি-নব্বইয়ের দশকে মাঠ কাঁপিয়েছেন আসলাম। সাংবাদিকতার কারণেই তার সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা। তিনি আমার অত্যন্ত একজন প্রিয় ব্যক্তি। তাকে নিয়ে অনেক রিপোর্টিং করেছি। তবে আমি কারো জন্য ভোট চাইবো না। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই নির্বাচিত করে আনবেন। নবনির্বাচিতরা দেশের ফুটবল এগিয়ে নিতে কাজ করবেন, শুধু এটাই চাইবো। আর নির্বাচনের পর সব প্যানেলের সবাই আবার একসাথে কাজ করবেন- এটাও আমি মনে করি। কারণ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে আসলামের একটি কথায় আছে সেই ইঙ্গিত। প্রতিদ্বন্দ্বী সালাম মুর্শেদী সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ভোটের মাঠে প্রতদ্বন্দ্বী হলেও আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি হবে না।’ পরিশেষে বাফুফে নির্বাচনের সব প্রার্থীর জন্য আমার শুভ কামনা থাকলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :