লিহান লিমা: [২] রোববার থাইল্যান্ডের সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা থাই রাজা মহা ভাজিরালংকনের বাসভবন গ্র্যান্ড প্যালেসের পাশ্ববর্তী ময়দানে গণতন্ত্রের সোনালী ফলক স্থাপন করে। ফলকে লেখা ‘এই দেশ জনগণের, রাজার নয়।’ বিক্ষোভকারীরা নতুন নির্বাচন ও রাজতন্ত্রের সংস্কার হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এপি/রয়টার্স/সিএনএন/আল জাজিরা
[৩]১৯৩২ সালে থাইল্যান্ডকে নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের দেশ থেকে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিবর্তন করার সময় মূল ফলকটি স্থাপন করা হয়েছিলো। তবে ২০১৭ সালের এপ্রিলে ফলকটি রহস্যজনকভাবে এই স্থান থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিলো। তার পরিবর্তে এখানে রাজতন্ত্রের প্রশংসা করে একটি ফলক স্থাপন করা হয়েছিলো।
[৪]বিক্ষোভকারীদের দাবী, ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করা সাবেক সেনা কমাণ্ডার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা গত বছর অবৈধ সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছেন। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সামরিক দলের মাধ্যমে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসা অগণতান্ত্রিক। তাকে পদত্যাগ করতে হবে।
[৫]বিক্ষোভকারীরা রাজার ক্ষমতায় নিয়ন্ত্রণ ও রাজতন্ত্র নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার দাবী জানান। বিক্ষোভকারীদের এই দাবী সাহসী ও ঐতিহাসিক। কারণ থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবমাননার জন্য ১৫ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। অধিকারকর্মী পানুসা সিথিজাইরাওয়াতানাকুল বলেন, ‘রাজতন্ত্রকে উৎখাত করা আমাদের দাবী নয়। আমরা চাই গণতান্ত্রিক শাসনের মাঝেই রাজতন্ত্র পুনমর্যাদার সঙ্গে অধিষ্ঠিত থাকুক।’
[৬]এছাড়া তারা পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক লিখিত সংবিধানের সংস্কার দাবী করেন।
[৭]বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন শিক্ষার্থী। হাজার হাজার শিক্ষার্থী শনিবার রাতে রাজপ্রাসাদের পাশ্ববর্তী সানাম লুয়াং মাঠে ক্যাম্প করে। রোববারের বিক্ষোভে তারা আগামী বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের বাহিরে মার্চ করার ঘোষণা দেয় এবং আগামী ১৪ অক্টোবর সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেয়। ১৯৭৩ সালের ওই দিনে কয়েক ডজন থাই বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। সেদিনের ছাত্র-আন্দোলনে দেশটিতে সামরিক একনায়কতন্ত্রের অবসান হয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :