ফরহাদ আমিন: [২] করোনার কারণে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনে ৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
[৩] এর আগে সর্বশেষ জুলাই মাসের শুরু দিকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের ট্রলার এসেছিল।
[৪] এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।তিনি বলেন,উচ্চপর্যায়ে বৈঠকের পর মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।এসব পেঁয়াজ যত দ্রুত সম্ভব খালাস করে বাজারে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
[৫] টেকনাফ শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী,মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে ৮৪ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে তিন হাজার ৫৭৩মেট্রিক টন,অক্টোবর মাসে ২০হাজার ৮৪৩মেট্রিক টন,নভেম্বর মাসে২১হাজার ৫৬০মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ চলতি বছরের জুলাই মাসে এসছিল৮৩মেট্রিক টন পেঁয়াজ।এর আগে মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার কারণে মিয়ানমার থেকে কোনো পণ্যবাহী বাণিজ্যিক ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে আসেনি।
[৬] টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের মহা- ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন চৌধুরী বলেন,জুলাই মাসের শুরুর দিকে মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ায় মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল।এ অবস্থায় প্রায় আড়াই মাস পর শুক্রবার জাহাজে করে ৩০মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। আজ শনিবার আরো একটি জাহাজ বন্দরে ভিড়েছে, সেখানেও আনুমানিক ১৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে।
[৭] তিনি আরো বলেন,শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় আমদানি করা পেঁয়াজের কাগজপত্র এখনও জমা হয়নি। তবে, যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে খালাসের পর পেঁয়াজ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
[৮] টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর বলেন,শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় আমদানি করা পেঁয়াজ এখনও খালাস করা হয়েছে। বন্দরে পেঁয়াজ খালাসের জন্য কাজ করছেন সেভেন স্টার নামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।খালাসের পর পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে যাবে। সম্পাদনা : আরাফাত
আপনার মতামত লিখুন :