রিয়াজ সবুজ: মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মানুষের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চিন্তার মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে টেকনোলজি ছাড়া আমাদের চলা প্রায় অসম্ভব। দেশের কোভিড পরিস্থিতিতে বিগত ছয় মাসে আমরা ডিজিটাল পদ্ধতির কারণে মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ সকল সভা করেছি। আবার প্রথম দিকে যখন কবে শুরু হয় তখন ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সরকার প্রধান সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। সার্বিকভাবে সকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোটিভেশন করেছেন।
এছাড়া দেশে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকার সবসময় পাশে থাকবে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বুধবার জাতীয় উন্নয়ন ও গবেষনা সংস্থা বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) কতৃক আয়োজিত বিবিএফ এসএমই ডিজিটাল সামিট-২০২০ তিনি এসব এ কথা বলেন তিনি।
ওয়েবিনারে অংশ নেওয়া পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ খলিকুজ্জামান আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এসএমই বলতে আমরা যেটা বুঝি সেটা আমাদের ভুল ধারণা। আমরা জানিনা বলেই বাস্তবতাকে ধারণ করতে পারিনা। আমরা গ্রামে না গিয়ে শহরে বসে পরিকল্পনা করি, গ্রামীণ জনপদের মানুষের যদি সমস্যা না বুঝি তাহলে তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সারাদেশে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের পরিমাণ ১ কোটি কাছাকাছি, প্রায় সকল মাঝারি শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশ ঘটেছে শহরকেন্দ্রিক কারণ গ্রামে ৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের ক্ষমতা খুব কম লোকেরই আছে। তাই টেকসই উন্নয়ন করতে হলে কাউকে বাদ রেখে উন্নয়ন করা যাবে না, সবাইকে নিয়েই উন্নয়ন করতে হবে। এরমধ্যে কৃষিখাতও রয়েছে। সরকারি প্রণোদনার অংশ এখনো কৃষকদের মাঝে পৌছাচ্ছে না। এটাকে পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে ব্যাংক দিয়ে কৃষকদের মাঝে পৌছানো যাবেনা অন্য উপায় ভাবতে হবে বলেও জানান তিনি।
গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রফেসর মাসুদ এ খানের সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপনে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য এসএমইগুলোকে ডিজিটালাইজেশনের করতে হবে। ব্র্যাংক ব্যাংক গত ১৯ বছর ধরে ক্ষুদ্র ও মাঝারী খাতে ব্যাপক ঋণ প্রধান করে আসছে। বর্তমানে ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় এক চতুর্থাংশই বিতরণ করা হয়েছে এস এম ই খাতে। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমইর এই অগ্রযাত্রায় ব্র্যাংক ব্যাংক এর অংশগ্রহণ ও অবদান উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে কারণে আমাদের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হলেও ইন্টারনেট ব্যাংকিং বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি আশা করছি, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে এসএমই ব্যবসায়ীরা ৫ মিনিটের মধ্যে ঋণ পাবেন।