লিহান লিমা: [২] টেম্পোরারি প্রটেকশন স্ট্যাটাস (টিপিএস ) পদ্ধতির আওতায় এই দেশগুলোর হাজারো নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজ করার অধিকার পেতেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা এল সালভাদর, নিকারাগুয়া, হাইতি ও সুদানের শত শত নাগরিকদের ওপর থেকে এই মানবিক সুরক্ষা তুলে নিতে চাইছে। সোমবার দেশটির আপিল কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এটি কার্যকর করতে পারবেন। আল জাজিরা
[৩] ১৯৯০ সাল থেকে গৃহিত এই টিপিএস পদ্ধতির আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলার নাগরিকদের সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সুরক্ষা প্রদান করা হয়ে আসছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন কয়েকটি দেশের জন্য এটি বন্ধ করতে চাইছেন।
[৪] আদালত বলছে, বিদেশী দেশগুলোর জন্য রাখা টিপিএস মর্যাদার আওতাভুক্ত থাকা পর্যন্তই কার্যকর হবে। দেশগুলো পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠলে তা রদ করা যাবে।
[৫] আমেরিকান সিভিল রাইট ইউনিয়ন বলছে, ট্রাম্প বর্ণবাদী মানসিকতা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প বলেছিলেন, হাইতি থেকে অভিবাসীরা এইডস নিয়ে আসছে ও নাইজেরিয়রা একবার যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর আর কখনোই আফ্রিকায় ফেরত যাবে না। সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা এই দেশগুলোর লাখো অধিবাসী ও তাদের পরিবার ঝুঁকিতে পড়বে।
[৬] টিপিএস সুরক্ষার আওতায় বিশ্বের মোট ১০টি দেশের ৪ লাখের বেশি নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান