দেবদুলাল মুন্না: [২] মঙ্গলবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশাল নিজস্ব ওয়েব সাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, , গত মে মাসে বাংলাদেশ সরকার ৩০০ এর অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে। এটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি বালুচর, যার বাসযোগ্যতা নিয়ে জাতিসংঘ এখনও তার মূল্যায়ন জানানোর অপেক্ষায়। অ্যামনেস্টি এটি মুল্যায়ন করার জন্য জাতিসংঘকে এরিমধ্যে অনুরোধ করেছে।
[৩] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবের কার্যালয়ের পরিচালক ডেভিড গ্রিফিথস বলেছেন, 'দশকের পর দশক ধরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন , তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু তাদের আশ্রয়দাতা দেশগুলোও রোঙ্গিাদের নিজেদের অধিকারের বিষয়ে কিছু বলতে দিচ্ছে না।
[৪] "লেট আস স্পিক ফর আওয়ার রাইটস" শীর্ষক এই ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়, 'বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছাড়া চলমান সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলা যেকোন সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ ও নিজেদের কথা বলার অধিকার দেয়া আবশ্যক।সিদ্ধান্তগ্রহণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অংশগ্রহণ না থাকার কারণে তাদের মানবাধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।