শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:১৪ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৫:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আনিস আলমগীর: একজন নারী কী পোশাক পরবে, সেটি তার ওপরই ছেড়ে দিতে পারছি না কেন?

আনিস আলমগীর: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বোরকা নিয়েও মহা ‘প্যাঁচাল’ চলছে। কিছু নারীবাদী আর কথিত প্রগতিশীল পুরুষ বোরকাকে একটি সাম্প্রদায়িক পোশাক হিসেবেও দেখছেন। তাদের হয়তো অন্য ধর্মাবলম্বী নারীদের ধর্মীয় বেশ-ভুষা চোখে পড়েনি। কদিন আগে একজন মহিলা এমপির সঙ্গে পোশাক নিয়ে কথা হচ্ছিলো। একটি পত্রিকার আয়োজনে এক সেমিনারে কিছু নারীনেত্রী তাদের নাকি স্লিভলেস পোশাক পরে পার্লামেন্টে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। এমপি নাকি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। একজন নারী কী পোশাক পরবে, আর কী পরবে না। সে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পোশাক-আশাক পরবে, নাকি মানুষ হিসেবে পরবে। সেটি আমরা ওই নারীর ওপরই ছেড়ে দিতে পারছি না কেন? আমাদের ক্যাম্পেইন করার প্রয়োজন কেন। অশালীন না হলেইতো হলো।

এখন যদি কেউ হিজাব সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়, সেটি সে ধর্মীয় দৃষ্টিতে পরছে, নাকি ফ্যাশন হিসেবে পরছে। আপনার মাথা ব্যথা কেন। হিজাব নিয়ে তো দেখি গানও হচ্ছে, সময়ের স্রোতে। ‘মায়াবি মাতওয়ালী চাঁদ রূপওয়ালি হিজাবের আড়ালে কী ঝলক দেখালি।’ আমাদের এটা ভুললে চলবে না, যারা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পোশাক পরে। তাদের পোশাককে নিন্দা করে রাষ্ট্রে অহেতুক বিবাদের সূচনা করে লাভ নেই। অনাদি অনন্তকাল থেকে ধর্ম ছিলো এবং অনন্তকাল থাকবে। তাদের পোশাকও থাকবে। পরিবর্তন, পরিবর্ধনও চলবে। আমি ২৫টির মতো দেশ সফর করেছি। মূলত সাংবাদিকতার কাজে। ওই সব দেশের সিংহভাগের সমাজ ব্যবস্থা আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত। পোশাক নিয়েও এতো ‘প্যাঁচাল’ দেখিনি। যে আফগানিস্তানের বোরকা নিয়ে আপনি ভাবছেন, তালেবানরা এটা চাপিয়ে দিয়েছে। সে আফগানিস্তানের সিংহভাগ নারী ওই ট্রেডিশনাল পোশাক পরতেই সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তালেবান চলে যাওয়ার পরও তারা সেটাই ধরে রেখেছে। আবার যে ইরানে মহিলারা বোরকা না পরে, ঘরের বাইরে বের হতে পারে না। সেই ইরানের মেয়েরা এটাকে পর্দা নয় জুব্বা হিসেবে নিয়েছে। বোরকার নিচে তাদের টপস, টাইট জিন্স, নয়তো স্কাটই দেখেছি। তেহরানে ইরানীদের বাসায়। রাত ১২টায়ও নারী-পুরুষ একসঙ্গে শেয়ারে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছে। সেখানে সব কিছুর পেছনে রয়েছে, মেনে আসা দীঘর্ দিনের অভ্যাস ও সংস্কৃতি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়