স্পোর্টস ডেস্ক : [২] লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়া নিয়ে কিছু দিন আগে তৈরি হয়েছিল তুমুল উত্তাপ-উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পাল্টে আগের ঠিকানায় থেকে গেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। দশ দিনের টানাপোড়েনের পর মেসি-বার্সা সংকটের সমাধানে অশান্ত হয়ে ওঠা ফুটবল অনুরাগীদের হৃদয়ে ফিরে এসেছে স্থিতি। কিন্তু নতুন করে কি ফের সরগরম হয়ে উঠতে যাচ্ছে ফুটবল অঙ্গন?
[৩] ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে অন্তত তেমন কিছুরই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। তাদের দাবি, বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে দিতে মনস্থির করেছেন। ক্লাবকে নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এরই মধ্যে অবহিত করেছেন তিনি। তবে এখনই প্রস্থানের ইচ্ছা নেই তার। মাত্রই শুরু হওয়া মৌসুমের পুরোটা কাটিয়ে তারপর প্যারিস ছাড়তে চান তিনি। অর্থাৎ আগামী ২০২১ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে নতুন কোনো ক্লাবে যোগ দেওয়ার আকাক্সক্ষা রয়েছে তার।
[৪] ২১ বছর বয়সী এমবাপের সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২০২২ সালে পর্যন্ত। তিন বছর আগে স্বদেশি ক্লাব মোনাকো থেকে প্রথমে ধারে তাকে দলে টেনেছিল প্যারিসিয়ানরা। পরের বছর ১৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে পাকাপাকিভাবে তাকে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারের পর তিনিই ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়।
[৫] এমবাপের প্রতি ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক তারকা ও রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান কোচ জিনেদিন জিদানের মুগ্ধতার কথা ফুটবলপ্রেমীদের অজানা নয়। স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপাধারী দলটির সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ অনেক দিন ধরেই তাকে স্কোয়াডে যুক্ত করতে চাইছেন। ফরাসি গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, এমবাপেকে পেতে কয়েক দফা প্রস্তাবও দিয়েছে রিয়াল। কিন্তু প্রতিবারই তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে পিএসজির পক্ষ থেকে।
[৬] রিয়ালের পাশাপাশি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকেও এমবাপের সম্ভাব্য নতুন ঠিকানার তালিকায় রাখা হয়ে থাকে। অতীতে দলটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের মুখে শোনা গেছে ফরাসি ফরোয়ার্ডকে নিয়ে স্তুতি। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তার লিভারপুলে যোগদানের গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল কয়েক মাস আগে। পরবর্তীতে সেই উড়ো খবরে তুষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন এমবাপে।
[৭] দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন ঠিকানা হিসেবে লা লিগা অথবা প্রিমিয়ার লিগের কোনো ক্লাবকে বেছে নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে এমবাপের। রিয়াল ও লিভারপুলের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের দুই শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটির নামও উল্লেখ করেছে তারা।- দ্য টাইমস/ ডেইলি স্টার