রাশিদুল ইসলাম : [২] হংকং ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন বানিয়েছে জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি ও বেইজিংয়ের ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল ফার্মাসি। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই টিকা মূলত নাকের স্প্রে।
[৩] নভেম্বরেই এই টিকার ট্রায়াল শুরু হয়ে যাবে।
[৪] ল্যাবরেটরিতে এই টিকার প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এই টিকা মানুষের শরীরে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে চীনের ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১০০ জনকে টিকার ডোজ দিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট যাচাই করা হবে।
[৫] হংকং ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইয়েন কিওক-ইয়াং বলেছেন, পেশীতে অর্থাৎ ইন্টারমাস্কুলার টিকার ডোজ দিয়ে যা লাভ হয় তার থেকে কিছুটা হলেও ভাল ফল পাওয়া যাবে নাকের ভ্যাকসিনে। কারণ সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন নাক ও মুখ দিয়েই শরীরে ঢোকার চেষ্টা করে। এপিথেলিয়াল কোষের রিসেপটর প্রোটিনের অঈঊ-২ সঙ্গে যুক্ত হয়ে শ্বাসনালী দিয়ে বাহিত হয়ে ফুসফুসে এসে পৌঁছায়। মানুষের শরীরে ঢুকে ভাইরাসের প্রধান লক্ষ্য হয় নাক ও গলার গবলেট ও সিলিয়েটেড কোষ। এই কোষের রিসেপটর প্রোটিনকে শনাক্ত করতে পারে ভাইরাসের রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেন।
[৬] ইয়ান বলেন, সার্স-কভ-২ আরএনএ (রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড)ভাইরাল স্ট্রেন শুধু নয় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসকেও কাবু করতে পারবে এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন। যদি শরীরে করোনার সঙ্গেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও থেকে থাকে তাহলেও এই টিকার প্রভাবে ভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা বলয় তৈরি হবে। এই টিকা এইচ১এন১ , এইচ৩এন৩ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের স্ট্রেন নষ্ট করতে পারবে।
[৭] এই টিকার ডোজে কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না। তবে হাঁপানি বা ক্রনিক ফুসফুসের রোগ থাকলে এই টিকার ডোজে সাইড এফেক্টস দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
[৮] দেশটির কোভিড ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট টাস্ক ফোর্সের প্রধান ঝেং ঝংওয়েই বলেছেন, টিকার ট্রায়ালের যাবতীয় প্রোটোকল তৈরি। সরকারি অনুমোদন পেলে জরুরি ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়ের আগেও টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হবে।