মঈন উদ্দীন: [২] ধানের ভাল দাম থাকায় রাজশাহীর চাষিরা আমনের আবাদ বাড়িয়েছেন। এতে কৃষি বিভাগ এখানে আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে।
[৩] আমন চাষি ও কৃষিবিদদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাজশাহীর চাষিরা এখন আমন আবাদের যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানে চাষিরা সাধারণত আমন চারা তৈরি ও রোপণ করেন বৃষ্টির পানিতে। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আষাঢ় মাসে এই অঞ্চলে কাঙ্খিত বৃষ্টি হয়নি।
[৪] এ পরিস্থিতিতে বেকায়দায় পড়েন আমন চাষিরা। পানি না থাকায় অনেক চাষি সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ শুরু করেন। পরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে এই অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যা দেখা দেয়।
[৫] রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শামছুল হক বলেন, সরকারি নানা উদ্যোগে ধানের ভাল দাম থাকায় রাজশাহীতে আমন আবাদ এবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা ও জলাবদ্ধতার পানি নেমে যাবার পর চাষিরা এখনও আমনের চারা রোপণ করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও বাগমারার ১ শ জন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিকে আমনের ভাসমান বীজতলা তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
[৬] এখন পর্যন্ত আমনের আবাদ ভাল আছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে আমন চাষিদের সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার রাজশাহীতে আমনচাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। এখন পর্যন্ত আবাদ ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হবে। গত বছর আমন আবাদ হয়েছিল ৭৬ হাজার ২৫৫ হেক্টরে। সম্পাদনা: সাদেক আলী