মাহফুজ নান্টু: [২] অনিয়মের অভিযোগে দুই কর্মচারীর বেতন বন্ধ রাখায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহর কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছয়-সাত জন যুবক ওই প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কার্যালয়ে প্রবেশ করে এ ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[৩] সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল্লাহ জানান, ট্যাক্স শাখায় মাস্টার রোলে কর্মরত দুই কর্মচারীর অনিয়মের অভিযোগে তাদের আগস্ট মাসের বেতন বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার স্টাফ মিটিংয়ে তিনি তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আরও ছয়-সাতজন যুবক মিলে তার কার্যালয়ে প্রবেশ তার উপস্থিতিতে টেবিলের গ্লাস ও চেয়ার ভাংচুর করে।
[৪] এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমি ঢাকায় আছি। ডেইলি লেবার এবং স্থায়ী লেবারদের মাঝে কাজকর্ম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি, এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। ভাংচুরের বিষয়টি প্রকৌশলী জানেন।’
র্যাব-১১ এর কুমিল্লাস্থ সিপিসি-এর কমান্ডিং অফিসার তালুকদার নাজামুস সাকিব জানান, সিটি কর্পোরেশন থেকে খবর পেয়ে র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
[৫] সন্ধ্যায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, কর্মচারীর বেতন নিয়ে গোলযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর টেবিলের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় অভিযোগ করা হয়নি।