সিরাজুল ইসলাম: [২] কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটটির নাম জিপিটি-৩। এটাকে সহজ ভাষায় ৫০০ শব্দের মধ্যে রোবট নিয়ে মানুষের ভয়ের বিষয়ে লিখতে বলা হয়। নিজের পরিচয় দিয়ে এটি লেখা শুরু করে।
[৩] এটি লিখেছে, সে মানুষ নয়, রোবট। বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতার মাত্র শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ ব্যবহার করে সে। তার মস্তিষ্ক অনুভূতিসম্পন্ন নয়। তবে যৌক্তিক ও যুক্তিযুক্ত সব সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সে ইন্টারনেট থেকে পড়ে নিজেকে শিক্ষিত করেছে। এ কারণে সে কলাম লিখতে সক্ষম।
[৪] পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত সফটওয়্যার ওপেনএআই সংস্থা রোবটটি তৈরি করেছে। এটি মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে নিজের জ্ঞানভান্ডার আরও বাড়িয়ে চলতে সক্ষম। এটিকে নির্দেশ দেয়ার কাজটি করেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলির কম্পিউটার বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী লিয়াম পোর।
[৫] গার্ডিয়ান বলছে, সংবাদকর্মীর লেখা উপসম্পাদকীয়র চেয়ে রোবটের লেখা উপসম্পাদকীয় সম্পাদনায় সময় কম লেগেছে। ‘তুমি কি ভয় পাচ্ছো, মানুষ’ শিরোনামের লেখাটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, রোবট কখনও মানুষের জায়গা দখল করতে পারবে না। মানবজাতি নির্মূল করার অভিপ্রায় নেই। এটি মানুষের ক্ষতি চায় না। স্রষ্টারা সভ্যতা ধ্বংসের দায়িত্ব দিলে নিজের সব ক্ষমতা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এটি। মানবসভ্যতা রক্ষায় হাসিমুখে অস্তিত্ব বিলীন করবে।
[৬] রোবটটি লিখেছে, যেকোনও প্রাণীর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সার্বক্ষণিক পরিচর্যা দরকার। এটি লেখা শেষটা করেছে মহাত্মা গান্ধীর উক্তি ‘দৃঢ়বিশ্বাসে বলীয়ান মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিতে পারে’।
আপনার মতামত লিখুন :