শিরোনাম
◈ এনসিপিতে যেতে পদ নিয়ে দেনদরবারে মাহফুজ ও আসিফ, বিএনপি জোটের প্রার্থী হতে গণঅধিকারে যাওয়ার গুঞ্জন ◈ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র নির্দেশেই বাংলাদেশি সন্দেহে ওপারে পুশব্যাক করা হচ্ছে: মমতা ◈ বিশ্বকাপের আগে বাংলা‌দে‌শের আর কোনো ম্যাচ নেই, সবচেয়ে বেশি ভারতের ◈ বিলিয়ন ডলার ঋণে চা‌পে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ ঢাবি শিক্ষক জামাল উদ্দীনকে হেনস্তা ডাকসু নেতার, ধাওয়া করার ভিডিও ভাইরাল ◈ একাত্তর আমাদের শেকড় এর প্রজন্মকে নিকৃষ্ট বলার দুঃসাহস তারা কীভাবে দেখায়: ফখরুল ◈ টানা লোকসান পেরিয়ে মুনাফায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১: অর্ধেক সক্ষমতায়ই আয় বেড়ে স্থিতিশীল হচ্ছে বিএসসিএল ◈ মাহফুজ ও আসিফের বিরুদ্ধে মিছিল, নেতৃত্বে এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির (ভিডিও) ◈ তফসিল ঘোষণার পর ইসির অধীনে যাবে যে সব দায়িত্ব ও ক্ষমতা ◈ যে কারণে এশিয়ার দেশে দেশে ভয়াবহ বন্যা, জানালেন বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রিয়াংকা আচার্য্য: আপনার হাসির শব্দ কানে ভীষণ বাজছে

প্রিয়াংকা আচার্য্য: আপনার সঙ্গে আমার বেশ কিছু ছবি আছে। এটা সবচেয়ে সুন্দর। আমার খুব প্রিয়। তবে ছবিকে ঘিরে এমন অপ্রিয় এক শোক আঙুল নিঙড়ে যে এতো অসময়ে বের হবে তা কে জানতো!

আপনি ছিলেন আমার কৈশোরের 'রিয়েল হিরো'- মুক্তির গান ছবির মোটা ফ্রেমের আড়ালে তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সেই তেজদীপ্ত ছেলেটি।

পরিচয় হওয়ার অনেক পরে জেনেছি যে আপনিই সেজন। তা জানার আগেই আপনার অসাম্প্রদায়িক, আপোষহীন, দৃঢ়চেতা সত্তার কাছে নত হয়েছি।

আপনিই শিখিয়েছেন- এ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হলেও নিজের অস্তিত্ব কীভাবে টিকিয়ে রাখতে হয়। দিদাকে বাসার বাইরে গেলে নানী, পিসিকে ফুপি, মাসিকে খালা না বলতে।

চিন্তার অনেক জটিলতায় আপনি সহজেই পথ বলে দিতেন। হয়তো এজন্যই আমি পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি।

নারীর মর্যাদা, অধিকার, আন্দোলন নিয়ে আপনি ছিলেন সচেতন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ওপর ডকুমেন্টারির কাজ শুরু করতে আপনি নানাভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। কল্পনা দত্তকে নিয়ে কাজ করার কথা আমার ওয়ালে আপনার করা শেষ কমেন্টে জানিয়েওছেন।

এই গোটা লক ডাউনে যখন চারিদিক থেকে আসা হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলাম, তখন আপনি সাহস জুগিয়েছেন। পাশে থেকেছেন।

শেষ দেখায় আপনি স্থপতি-কবি রবিউল হুসাইন ভাইয়ের হঠাৎ চলে যাওয়া নিয়ে আফসোস করেছিলেন। আপনি বলেছিলেন- এরপর দেয়ালে কার ছবি উঠবে কে জানে!

আসলেই কে জানতো!! মানে কী করে মেনে নেয়া যায় এমন করে চলে যাওয়া!!!

গত কিছু আলাপে আমাদের কথা হয় দেশভাগ নিয়ে। আপনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন। তাই এ বিষয়ের ওপরই একটা বই আপনাকে দেয়ার জন্য কিনেছিলাম। দুই দিন আপনার সঙ্গে দেখা করে বইটা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। আপনি অপেক্ষা করেছেন আমি পৌঁছাতে পারিনি।

এবার আমার অপেক্ষার পালা। দিনতো একদিন ফুরাবেই। অনেক অনেক অনেক কথা জমা আছে, আরও থাকবে। অভিমান, চোখের জল, সব থাকবে। সেগুলো বলবো। জ্বালাবো সেখানেও।

শেষ ফোনকথায় আপনাকে বলেছিলাম- আপনার চেহারার সঙ্গে গুলজার সাহাবের দারুণ মিল। আপনি হেসেছিলেন। আপনার হাসির শব্দ কানে ভীষণ বাজছে!

আপনি আমার পোস্টগুলো সব পড়তেন। নিশ্চয়ই এটাও পড়বেন। তাই বলছি- আপনাকে ভালোবাসি, বড্ড বেশিই ভালোবাসি। আর ভালোবাসবোও... সে যেখানেই থাকেন!

মরণ রে তুহুঁ মম শ্যাম সম...

ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়