শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রিয়াংকা আচার্য্য: আপনার হাসির শব্দ কানে ভীষণ বাজছে

প্রিয়াংকা আচার্য্য: আপনার সঙ্গে আমার বেশ কিছু ছবি আছে। এটা সবচেয়ে সুন্দর। আমার খুব প্রিয়। তবে ছবিকে ঘিরে এমন অপ্রিয় এক শোক আঙুল নিঙড়ে যে এতো অসময়ে বের হবে তা কে জানতো!

আপনি ছিলেন আমার কৈশোরের 'রিয়েল হিরো'- মুক্তির গান ছবির মোটা ফ্রেমের আড়ালে তীক্ষ্ণ দৃষ্টির সেই তেজদীপ্ত ছেলেটি।

পরিচয় হওয়ার অনেক পরে জেনেছি যে আপনিই সেজন। তা জানার আগেই আপনার অসাম্প্রদায়িক, আপোষহীন, দৃঢ়চেতা সত্তার কাছে নত হয়েছি।

আপনিই শিখিয়েছেন- এ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হলেও নিজের অস্তিত্ব কীভাবে টিকিয়ে রাখতে হয়। দিদাকে বাসার বাইরে গেলে নানী, পিসিকে ফুপি, মাসিকে খালা না বলতে।

চিন্তার অনেক জটিলতায় আপনি সহজেই পথ বলে দিতেন। হয়তো এজন্যই আমি পেশাগত জীবনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাজ করতে আগ্রহী হয়েছি।

নারীর মর্যাদা, অধিকার, আন্দোলন নিয়ে আপনি ছিলেন সচেতন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ওপর ডকুমেন্টারির কাজ শুরু করতে আপনি নানাভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। কল্পনা দত্তকে নিয়ে কাজ করার কথা আমার ওয়ালে আপনার করা শেষ কমেন্টে জানিয়েওছেন।

এই গোটা লক ডাউনে যখন চারিদিক থেকে আসা হতাশায় ডুবে যাচ্ছিলাম, তখন আপনি সাহস জুগিয়েছেন। পাশে থেকেছেন।

শেষ দেখায় আপনি স্থপতি-কবি রবিউল হুসাইন ভাইয়ের হঠাৎ চলে যাওয়া নিয়ে আফসোস করেছিলেন। আপনি বলেছিলেন- এরপর দেয়ালে কার ছবি উঠবে কে জানে!

আসলেই কে জানতো!! মানে কী করে মেনে নেয়া যায় এমন করে চলে যাওয়া!!!

গত কিছু আলাপে আমাদের কথা হয় দেশভাগ নিয়ে। আপনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন। তাই এ বিষয়ের ওপরই একটা বই আপনাকে দেয়ার জন্য কিনেছিলাম। দুই দিন আপনার সঙ্গে দেখা করে বইটা দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। আপনি অপেক্ষা করেছেন আমি পৌঁছাতে পারিনি।

এবার আমার অপেক্ষার পালা। দিনতো একদিন ফুরাবেই। অনেক অনেক অনেক কথা জমা আছে, আরও থাকবে। অভিমান, চোখের জল, সব থাকবে। সেগুলো বলবো। জ্বালাবো সেখানেও।

শেষ ফোনকথায় আপনাকে বলেছিলাম- আপনার চেহারার সঙ্গে গুলজার সাহাবের দারুণ মিল। আপনি হেসেছিলেন। আপনার হাসির শব্দ কানে ভীষণ বাজছে!

আপনি আমার পোস্টগুলো সব পড়তেন। নিশ্চয়ই এটাও পড়বেন। তাই বলছি- আপনাকে ভালোবাসি, বড্ড বেশিই ভালোবাসি। আর ভালোবাসবোও... সে যেখানেই থাকেন!

মরণ রে তুহুঁ মম শ্যাম সম...

ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়