শাহ জালাল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. সাজেদুর রহমান (৩৬) নামের এক এনজিও কর্মকর্তা খুন হয়েছেন। পুলিশের দাবি তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
[৩] রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ক্রাইম সিনের সদস্যরা সন্ধায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরণ করেছেন।
[৫] নিহত সাজেদুর রহমান টাঙ্গাইল জেলার সদর উপজেলার মীরপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
[৬] পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বারদী ইউনিয়নের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার শামসুদ্দিনের ছেলে হান্নানের স্ত্রী শারমিন আক্তার ব্যুরো বাংলাদেশ নামের একটি এনজিও বারদী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এ থেকে প্রতি সপ্তাহে ১২৫০ টাকা করে ঋণ পরিশোধ করে শারমিন আক্তার। এছাড়াও ওই বাড়িতে আরো কয়েকজন গ্রাহক রয়েছে। রোববার দুপুরে ওই কিস্তির টাকা আদায় করতে ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মো. সাজেদুর রহমান হান্নানের বাড়ি যান। সে দিন বিকালে হান্নানের ঘরে তার গলাকাটা লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। সোনারগাঁ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক তদন্ত শরীফ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রাইমসিনের সদস্যদের খবর দিলে সন্ধায় তারা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
[৭] ব্যুরো বাংলাদেশের বারদী শাখার হিসাব রক্ষক মামুন অর রশিদ বলেন, সাজেদুর রহমান বেলা ১২টার দিকে একটি কেন্দ্রের টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা দিয়ে দুপুরে সোয়া ১টায় এ কেন্দ্রের টাকা তুলতে যান। এখানে এসে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন৷ তবে গ্রাহকরা নিয়মিতভাবেই কিন্তি পরিশোধ করছেন। তার কাছে কোনো নগদ টাকা ছিল না। কি কারনে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটলো বিষয়টি তদন্তের দাবি করছি।
[৮] সোনারগাঁ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, কি কারনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্পাদনা : হ্যাপি