হাসান মোর্শেদ: ২৬ মার্চ ’৭১ এর প্রথম প্রহরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন যে বীরগন, তারা প্রায় সকলেই চলে গেছেন। ৫ সেপ্টেম্বর গেলেন আবু ওসমান চৌধুরী। জীবনের ঝুঁকি, রক্তাক্ত যুদ্ধ, সহযোদ্ধাদের প্রানের বিনিময়ে একটা স্বাধীন অকৃতজ্ঞ জাতি রেখে গেলেন এরা। সরকারি কিছু আনুষ্ঠানিকতার বাইরে স্বতস্ফুর্ত কোন স্মরন নেই এই বীরগনের। আবু ওসমান চৌধুরীকে তো সেক্টর কমান্ডার হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়া হলোনা, কয়েকদিনের যুদ্ধে আহত হয়ে কলকাতা গিয়ে প্রেম-বিয়ে করে বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিম ও বীর উত্তম কিন্তু আবু উসমানের ভাগ্যে তা জুটেনি। বরং তথাকথিত সিপাহী জনতার বিপ্লবের নামে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিলো, নিহত হয়েছিলেন তার স্ত্রী। সব বীর শেষ পর্যন্ত বীর নন। আবু উসমান শেষ পর্যন্ত বীর। জিয়াউর রহমানের চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সব ওয়ার হিরোর সেই সাহস হয়নি। এ মাটি আপনাকে ভালোবাসে গ্রহন করুক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :