শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দুজনকে ছাড়াতে ওসিকে যুবদল নেতার হুমকি, ‘আপনার রিজিক উঠে গেছে’ ◈ ৬’শ টাকায় যত খুশী ততবার ট্রেন ভ্রমণ, জানে না অনেকেই! (ভিডিও) ◈ আলী রীয়াজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ  ◈ হ‌কি সি‌রি‌জের প্রথম ম‌্যা‌চে বাংলা‌দেশ ৮-২ গো‌লে হে‌রে গে‌লো পাকিস্তানের কা‌ছে ◈ ফের গ্রিন কার্ডের জন্য কঠিন শর্ত দিলো যুক্তরাষ্ট্র ◈ সন্ত্রাসী‌দের ভ‌য়ে পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরতে চাওয়া নিজ দে‌শের ক্রিকেটারদের কড়া বার্তা দিলো লঙ্কান বোর্ড ◈ আর্চারিতে মিশ্র ই‌ভে‌ন্টে ভারতের কাছে হেরে রৌপ‌্য পদক জিতল বাংলাদেশ ◈ প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ ◈ যশোরে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৫ দুপুর
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] নদীতে মিলছে না আশানুরূপ মাছ, ভিন্ন পেশায় ঝুঁকছেন জেলেরা

তৌহিদুর রহমান : [২] আষাঢ-শ্রাবণ মাসে বর্ষাকালে নদীতে থাকে বুক ভরা জল। আর ভাদ্র মাসে নদীর পানি কমতে শুরু করে। ফলে নদীতে রুই, কাতলা, বোয়ালসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ তখন নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ে। কিন্তু নদীতে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দিনে দিনে সে আশানুরূপ মাছ আর জেলেদের জালে এখন আসছেনা। এর ফলে বাপ-দাদার এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য পেশায় দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই।

[৩] ব্রাহ্মণবাড়িয়া অধিকাংশ জেলেদের মাছ ধরে উপার্জনের ভরসা ছিলো মেঘনা-তিতাস নদী। দুপুর বেলা শুরু করে পালাক্রমে সারারাত জেগে জাল ফেলে মাছ ধরতো তারা। এই মাছ জেলার বিভিন্ন আড়ৎতসহ আশে পাশের বড় বাজারগুলোতে নিয়ে বিক্রি করা হতো। আশুগঞ্জের চর সোনারামপুরের জেলেদের যাপিত জীবনের এমন চিত্র আগে থাকলেও এখন তাদের ভিন্ন জীবন। মাছ ধরে আগের সুখের দিনের এসব কিছু এখন আর নেই। কথা হয়

[৪] চর সোনারমপুরের জেলে মূলক বর্মন ও নেপাল বর্মনের সাথে তারা বলেন, মেঘনা ও তিতাস নদীতে ভরা মৌসুমে পানি আছে ঠিকই, জালে মাছের দেখা নেই। জেলেরা যা পাচ্ছে তা না পাওয়ার মতো। জাল বাইস করে (নদীতে মাছ ধরে) পরিবারের ভরণ পোষণ করা অনেক দায় হয়ে পড়েছে। জালে আগের মতো মাছও ধরা পড়ছে না। জেলের তুলনায় মাছও নেই।

[৫] লিটন দাস আর লবা চন্দ্র বর্মন বলেন, আগে নদীতে থেকে মাছ ধরে ভৈরবের আড়তে ১ মণ থেকে ২ মণ মাছ বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন সারারাত মাছ ধরে ৩ থেকে ৪ কেজিও বিক্রি করতে পারি না।

[৬] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশুগঞ্জের এই চর সোনারামপুরে ২০০ জেলের বসবাস। যাদের একমাত্র পেশা ছিলো নদীতে মাছ ধরা। কিন্তু বর্তমানে নদীতে জাল ফেলে যে পরিমাণ মাছ ধরা হয় তাতে পরিবারের ভরণ-পোষণতো দূরের কথা নিজেদের পেট চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ এ পেশা ছাড়ছেন। কেউবা আবার ওয়ার্কশপ, মুদি দোকান, স্বর্ণের দোকানের কারিগর হিসেবে থাকছেন।

[৭] মেঘনায় মাছ না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে আশুগঞ্জ বাজারের কয়েকজন মাছ বিক্রেতা বলেন, মাছ পানিতে থাকব কিভাবে। নদীতে, বিলে, হাওরে পানিতে কোনো মাছ ছাড়া হয় না। জেলেদের কাছ থেকে ভালো মাছ কিনতে পারি না। তাই ক্রেতাদের কাছেও ভালো মাছ বিক্রি করতে পারি না। আশুগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান জানান, আমার মৎস্য অধিদফতরের আওতায় প্রতি বছরই নদীতে ও উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ বৃদ্ধির জন্য পোনা অবমুক্ত করে থাকি। অসাধু জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়। তাছাড়া জেলেদের বিকল্প আয়ের জন্য সেলাই মেশিন দিচ্ছি।সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়