সুজিৎ নন্দী: [২] কোভিড-১৯ কারণে রাজধানী ঢাকার প্রায় সব পার্ক ও উদ্যান বন্ধ রয়েছে। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও এখনও এসব বিনোদন কেন্দ্র চালু হয়নি। কবে নাগাদ খোলা হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকলেও শিঘ্রই পার্ক ও উদ্যানগুলো খুলে দেয়া হবে।
[৩] ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা জানান, এখনও তাদের কাছে কোনও নির্দেশনা আসেনি। তবে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো চালু করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। আর ঢাকা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের জারি করা বিধিনিষেধ শেষ হলে পার্কগুলো পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) দিয়ে পরিচালিত হবে।
[৪] জানা গেছে, নগরীর প্রায় সবকটি বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, জাতীয় চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, ডিএনসিসি ওন্ডারল্যান্ড, জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ শিশু পার্কসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন ও সরকারি অফিস আদালত পুরোদমে চালু হলেও এখনও এসব বিনোদন কেন্দ্র চালু হয়নি। তবে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো চালু করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
[৫] সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জাতীয় জাদুঘর বন্ধ রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই খোলার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছেন বলে একাধিক সূত্র জানান। বোটানিক্যাল গার্ডেনের পরিচালক হক মাহবুব মোরশেদ জানান, এখনও বোটানিক্যাল গার্ডেন খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকেও কোনও নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে যতদূর জানি এ নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে একটা আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পরিবেশ পরিস্থিতি যদি ভালো হয়, তাহলে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি দিকে এগুলো খুলে দেয়া বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে।
[৬] বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাও। কবে নাগাদ চিড়িয়াখানাটি চালু হবে তারও কোনও তথ্য নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এখনও চিড়িয়াখানা চালুর সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সেহেতু চিড়িয়াখানাও খুলে দেওয়া হবে।
[৭] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাঠ ও পার্কগুলোও বন্ধ রয়েছে। তবে যেসব মাঠ ও পার্কে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয় না, সেসব মাঠ ও পার্ক খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমাদের যতগুলো মাঠ প্রস্তুত হয়েছে আমরা সব খুলে দিয়েছি। স্থপতিদের নির্দেশনা ক্রমে সপ্তাহের যত দিন খোলা রাখলে মাঠ ও পার্কগুলো ভালো থাকবে সে অনুপাতে শিডিউল করে দেওয়া হয়েছে। এরপর করোনার কারণে আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সব খুলে দেওয়া হয়নি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ