সিরাজুল ইসলাম: [২] হাজারো মানুষ শুক্রবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে। তারা ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। এ সময় তারা ‘ফ্রান্স নিপাত যাক’ স্লোগান দেয়। রয়টার্স
[৩] ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক সাময়িকী ‘শার্লি এবদো’ কয়েক দিন আগে হযরত মুহম্মদ (স.) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন পুনরায় প্রকাশ করে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এ কার্টুন প্রকাশ করার পর সাময়িকীটির কার্যালয়ে উগ্রপন্থিরা হামলা চালায়। এতে ওই কার্টুনিস্ট ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়। আরেক স্থানে হামলায় মারা গেছে ৫ জন। সম্প্রতি ওই হামলার ঘটনায় বিচার শুরু হয়েছে।
[৪] বিক্ষোভকারীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিলো। এতে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানানো হয়। ২০০৫ সালে ডেনমার্কের সংবাদপত্র জ্যালিয়ান্ডস-পোস্টেন প্রথম হযরত মুহম্মদ (স.) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করে। এতে মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়।
[৫] পাকিস্তানের সব চেয়ে বড় শহর করাচিতে এ বিক্ষোভের ডাক দেয় ইসলামপন্থি দল তেহরিক-ই-লাইবাক পাকিস্তান (এলটিপি)। একই সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি, পেশওয়ার, লাহোর ও দেরা ইসলাম খানে বিক্ষোভ করা হয়েছে। এতে শহরগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।
[৬] টিএলপি নেতা রাজি হুসেইন বলেন, হযরত মুহম্মদ (স.) এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন পুনরায় প্রকাশ করা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মধ্যে পড়ে। এটা ধর্ম অবমাননার অপরাধ। ২০১৫ সালেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিলো পাকিস্তানে।
[৭] পাকিস্তান সরকারও এ কার্টুন ছাপার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশী বলেন, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু স্বাধীনতার মানে এই নয় কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া। এটা এক ধরনের অপরাধ।
[৮] শার্লি হেবদোর সম্পাদক রিস সৌরিসিউ বলেন, তারা কখনও মাথা নত করবেন না।