শিরোনাম
◈ গাজা থেকে সিডনি; যখন ইসরায়েল বিশ্বের ইহুদিদের জীবন কেড়ে নেয়! ◈ বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে-বাইরে কী ঘটেছিলো ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর  ◈ ১৯৭১-এর বিজয় স্মরণে মোদির পোস্ট, বাংলাদেশের নাম না থাকায় প্রশ্ন ◈ বিভাজন ও হিংসা ভুলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার: তারেক রহমান ◈ হাদি হত্যা চেষ্টা: ফয়সাল করিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কে এই দাঁতভাঙা কবির? ◈ আজ থে‌কে ঢাকায় শুরু আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা  ◈ আয়ের সঙ্গে ব্যয় মিলাতে পারছেন না সাধারণ মানুষ ◈ মিথ্যা ইতিহাস রচনা করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে: জামায়াত আমির ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করলেন রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:১০ সকাল
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আতিক খান: অনেক প্রবাসী প্রতারিত হয়েছেন নিজের পরিবারেই

আতিক খান: সৌদি প্রবাসী রাশেদকে নিয়ে লেখা পোস্ট বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করার পর অসংখ্য মন্তব্য পেয়েছি, যার ৯৫ শতাংশই হলো প্রবাসীদের বঞ্চনার গল্প। প্রবাসীরা পুরো কর্মজীবন ধরেই পরিবারকে টাকা পাঠিয়ে গেছেন। আর সেই টাকায় পরিবারের কেউ নিজেদের নামে সম্পদ কিনেছেন, জুয়েলারি বানিয়েছেন, আইফোন কিনেছেন, বাড়ি বানিয়েছেন, পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই প্রবাসীর বউ বা পরিবারকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। এমনকি বহু বছর পরে সেই প্রবাসী যখন প্রায় খালি হাতে ফিরেছেন। তখন তার সম্পদ, ব্যাংক ব্যালেন্স কিছুই বুঝে পাননি। এরপর কেউ কেউ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। আবার কেউ বা আত্মহত্যাও করেছেন। মূলত বাবা,মা আর পরিবারের সদস্যরাই এদেরকে প্রাপ্য ন্যায়, আর অধিকার হতে বঞ্চিত করেছেন। এর বিপরীতে ভালো অভিজ্ঞতা খুবই কম। আমার ভালো অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করি। আমার মেজ মামা ৭০ এর দশকের শুরুর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ হতে স্কলারশিপ নিয়ে জার্মানি গিয়েছিলেন। উনি পরে জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাংক ইন্সটিটিউটের নিউরোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হন।

বিজ্ঞানে উনার অবদান নিয়ে অন্যদিন লিখব। নানা রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। আর আম্মারা ছিলেন ১০ ভাই-বোন। নানার অবসরের পর সংসারে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হলে মেজ মামা কন্ট্রিবিউট করতেন। নানা মেজ মামার সেই কন্ট্রিবিউশান আলাদা করে মনে রেখেছিলেন এবং উনার জীবদ্দশাতেই মেজ মামার জন্য আলাদা একটা জমি লিখে দিয়ে যান। যার মূল্য মেজ মামার কন্ট্রিবিউশান এর চাইতে বেশি ছিলো। ভাই-বোনেরাও উনাকে সবসময় আলাদা সম্মানের চোখে দেখেছেন। গত দুই যুগেরও বেশি উনি দেশে না এলেও, নানা মারা যাবার পর উনার পৈতৃক সম্পত্তির অংশও কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। এতে ভাই-বোনদের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় আর আন্তরিক হয়েছে। মেজ মামা খুবই সচ্ছল ছিলেন এবং নানার দেওয়া আলাদা কোনো সম্পদ উনার প্রয়োজন ছিলো না। তবুও বাবা হিসেবে নানা কোনো ঋণ বা অভিযোগ রেখে যেতে চাননি। মেজ মামার প্রতি ন্যায়বিচার করে গিয়েছেন। প্রবাসীদের বাবা-মা কিংবা ভাইবোনেরা তাদের আত্মত্যাগ করা প্রবাসী ভাই বা বোনের জন্য এরকম উদাহরণ তৈরি করতে পারেন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়