সিরাজুল ইসলা: [২] কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপে শ্যাম্পে এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানান। এএফপি
[৩] বিবৃতিতে বলা হয়, শুধু গণহত্যা ঠেকানোই উদ্দেশ্য নয়। দায়ীর দায়বদ্ধতার মধ্যে আনাটাও দায়িত্ব। মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে গাম্বিয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে। মামলায় সমর্থন দেয়ার জন্য গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেয়া দেশগুলোকে আহ্বান জানান তারা।
[৪] এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবতার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এ মামলায় কানাডা ও নেদারল্যান্ডস আইনী সহায়তা করবে। বিশেষ করে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবে তারা।
[৫] ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যা, সংঘর্ষ, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ায় জীবন বাঁচাতে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে পাড়ি জমায়।
[৬] গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করে গাম্বিয়া। এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর। জানুয়ারি মাসে কোর্ট মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়।