চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : [২] বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় গত ডিসেম্বরে বাঘিনী পরীর ঘরে জন্মানো ছানাটির এ নাম রাখা হয়। এর মধ্যেই সবার মন কেড়েছে পরীর মেয়ে করোনা। তাই চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধানকারীরাও তাকে খুশি রাখতে মহাব্যস্ত। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থীও আসছে শুধু এই ছোট্ট করোনাকে দেখতে, তার সঙ্গে খুনসুটি করতে।
[৩] মাত্র কয়েক মাসের করোনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকাও খেয়াল করার মতো। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আর যাই থাক না কেন, করোনা সবচেয়ে বেশি খেতে ভালোবাসে ছোট মুরগির মাংস আর গরুর তাজা কলিজা। প্রতিমাসে তার খাবারের জন্যই কর্তৃপক্ষকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা। পছন্দের খাবার খেয়ে এর মধ্যেই বেশ হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে করোনা।
[৪] ২০০৬ সালে চন্দ্রা নামের বাঘ আর ২০১২ সালে পূর্ণিমা নামের বাঘিনী মরে যাওয়ার পর থেকে একেবারে শূন্য পড়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ওদের খাঁচা দুটি। প্রায় চার বছর পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে চিড়িয়াখানার টিকিট বিক্রির ৩৩ লাখ টাকা দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১১ মাস বয়সী রাজ ও ৯ মাস বয়সী পরীকে কিনে আনা হয়।
[৫] ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশে মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটার আগেই রাজ ও পরীর ঘরে জন্ম নেয় দুটি ছানা। তবে পরদিনই একটির মৃত্যু ঘটে। বেঁচে থাকা ছানাটিকে প্রথমে ইনকিউবেটরে ও পরে একটি পর্দাঘেরা খাঁচায় তিন মাস ধরে নিবিড় পরিচর্যায় বড় করে তোলা হয়।
[৬] এরইমধ্যে ১৯ মার্চ করোনার কারণে চিড়িয়াখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছানাটির নাম রাখা হয়নি। কোনো দর্শনার্থীও দেখতে পায়নি তাকে। গত ২৩ আগস্ট চিড়িয়াখানা খোলার পর থেকে করোনাকে ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশেষ আগ্রহ। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ