সালেহ্ বিপ্লব: [২] কামড় দিতে রাসেল ভাইপার সময় নেয় ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ। পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ এই ভাইপারের শিকার। মানুষ দেখলেই তেড়ে আসা এদের স্বভাব। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, উইকিপিডিয়া, আইইউসিএন ওয়েব
[৩] রাসেল ভাইপারের বিষের কোনও এন্টিভেনম নেই। সাপটির বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়; ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হয়। এদের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড়। এর বিষ হোমোটক্সিন, যে কারণে কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়। ভয়ংকর এই সাপের বাংলা নাম 'চন্দ্রবোড়া'।
[৪] এদের চেহারা অনেকটা অজগরের মত, দৈর্ঘ্য সাধারণত ৪ থেকে ৫ ফুট হয়। উত্তরবঙ্গের বরেন্দ্র এলাকাসহ পদ্মার তীরবর্তী প্রতিটি এলাকায় এদের দেখা যায়। গত কয়েক বছরে এদের উপস্থিতি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৫] ধারণা করা হতো, বাংলাদেশ থেকে রাসেল ভাইপার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। মাঝে ২৫ বছর এদের দেখা মিলেনি, ফের দেখা যাচ্ছে ২০১২ সাল থেকে।
[৬] গবেষকদের ধারণা, বন্যার পানিতে ভেসে ভারত থেকে এই সাপ বাংলাদেশে এসেছে। এরা সাধারণত ঝোপঝাড়, শুকনা গাছের গুড়ি, ডাব গাছের নিচে, গোয়াল ঘর- এই সব জায়গায় থাকতে পছন্দ করে।
[৭] অন্যান্য সাপ সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০টি ডিম পাড়ে, রাসেল ভাইপার ডিম পাড়ে না। একসঙ্গে ৬০ থেকে ৮০টি বাচ্চা প্রসব করে।
[৮] রাসেল ভাইপারের সাক্ষাৎ যম শঙ্খিনী, দেখতে পেলেই ধরে খেয়ে ফেলে। বিষ-নির্বীষ সব সাপই শঙ্খিনীর খাদ্য। কিন্তু ভয়ংকর বিষধর অথচ নিরীহ সাপটির এখন আর দেখা পাওয়া যায় না। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিন) বলেছে, শঙ্থিনী সাপ বাংলাদেশে বিপন্ন অবস্থায় আছে।
আপনার মতামত লিখুন :