মঞ্জুরে খোদা টরিক: গত মাসে রুমী আহমেদের সঞ্চালনায় ‘কওমী মাদ্রাসায় শিশুধর্ষণ ও তার প্রতিকার’ বিষয়ক আলাপে আমার সঙ্গে সাইফুল বাতেন টিটো ও মুফতি মাসুদ ছিলেন। সাইফুল বাতেন টিটো হচ্ছে ‘কওমী মাদ্রাসার শিশুধর্ষণ উপখ্যান বিষফোড়া’ বইয়ের লেখক। যে পুস্তকটি সরকার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জননিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টিটোর এই বইটি কওমী মাদ্রাসায় শিশুধর্ষণের উপর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও সরাসরি মাঠপর্যায়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার উপর ভিত্তি করে লেখা।
এই প্রকাশনা কোনোভাবেই প্রচলিত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। সরকার শুধু ধর্মান্ধ শক্তিকে খুশি করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। যাদের খুশি করতে সরকার এর আগে পাঠ্যসূচির অনেক পরিবর্তন করেছেন, খ্যাতিমান হিন্দু ও বিধর্মী লেখকদের লেখা পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দিয়েছে। অপেক্ষায় আছি, কবে কওমী মাদ্রাসা উপর কোনো নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনে পত্রিকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ধর্মের মনগড়া ব্যাখ্যার কারণে কোনো কাঠমোল্লার জেহাদী ওয়াজ বন্ধ হয় না। দেশে দিনদিন মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও সৃজনশীল গবেষণা, প্রকাশনা বন্ধ করা হচ্ছে। সরকারের এই তালেবান তোষণনীতির পরিণতি হবে ভয়াবহ। ফেসবুক থেকে