মোর্শেদ: [২] ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সৌন্দর্য্যময় একটি গ্রামের নাম শ্রীচন্দ্রপুর।শ্রী অর্থ সুন্দর, চন্দ্র মানে চাঁদ। চাঁদের সৌন্দর্য্য নিয়ে মুহুরী নদীর কোল ঘেঁষে প্রাকৃতিক পরিবেশের অনন্য সৃষ্টি বলেই হয়তো গ্রামটির নাম শ্রীচন্দ্রপুর।
[৩] ফুলগাজী সদর হতে প্রায় ৭ কিঃ মিঃ এবং ফেনী জেলা শহর হতে ১২ কিঃমিঃ দূরত্বে জিএমহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত এই গ্রামে হিন্দু- মুসলিম সম্প্রদায় একসাথে বসবাস করে।বর্তমানে সড়ক পথে যোগাযোগের সুব্যবস্থা থাকলেও একসময় মুহুরী নদীতে নৌকা অথবা সাম্পান চালিয়ে যাতায়াত করা হতো।
[৪] সরেজমিনে উপজেলার মুন্সীরহাট হতে বশিকপুর হয়ে মুহুরী নদীর পাড়ে উঠে একই গ্রামে অবস্থিত শনির হাট বাজারের স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়,একসময়ের জমজমাট এই বাজারে খেয়া পার হয়ে নদীর ওপার হতেও মানুুষের যাতায়াত ছিল। গ্রামের অনেকেরই ফসলী জমি নদীর ওপারে।
[৫] গ্রামটি নদীর পাড় দিয়ে পার্শ্ববর্তী ছাাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের মহামায়া ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত। নদীর পশ্চিম পাড়ে ফুলগাজী উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়ন অপর পাড়ে ছাাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়ন। এ দুই পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নদীর ওপর একটি সেতুর প্রয়োজনীয়তা থাকলেও কেউ দেখার নেই।পাশাপাশি মহামায়া ঘাট পর্যন্ত নদীর বাঁধ সংস্কার না করায় বাসিন্দাদের যেমন বর্ষায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয় তেমনি স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জিএমহাট সহ জেলাশহর কিংবা উপজেলায় যেতে কষ্টসাধ্য।
[৬] বর্ষায় মুহুরী নদীর পূর্ণ যৌবনায় পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দাদের আতংকে দিন যাপন করতে হয়। মুহুরী নদী দুপাড়েই ভাঙনে সৃষ্টি হওয়ায় ফসলী জমি,সহ বাসিন্দাদের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। গ্রামটির বিস্তৃর্ণ এলাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ের প্রায় দুই কিঃমিঃ রাস্তা কাঁচা ও ভাংগা হওয়ায় মানুষের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা দুঃসাধ্য।
[৭] শ্রীচন্দ্রপুরের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল, শনির হাটে মুহুরি নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ ও নদীর পাড় মেরামত ও পাকাকরণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
[৮] দ্রুত নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ ও নদীর পাড়ের টেকসই মেরামত এবং পাকা করণ প্রাণের দাবি বলে উল্লেখ করেন এলাকাবাসী। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ