মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] মানিকগঞ্জের শিবালয়ের জাফরগঞ্জ এলাকার জেলে গোপাল হালদার রোববার ভোরের দিকে জাল ফেলেন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া এলাকায়। সকাল নয়টার কিছু আগে জাল তুলে দুটি ইলিশ পান। একটির ওজন ছিল প্রায় ২ কেজি ২০০ গ্রাম। আরেকটির ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম।
[৩] দৌলতদিয়া ঘাটে কেছমত মোল্লার আড়তে মাছ দুটি নিলামে তোলা হয়। মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ দুটি কিনে নেন। ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি তিনি কেনেন ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ৫ হাজার ৭০০ টাকায়। আর ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি কেনেন ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৬৯০ টাকায়।
[৪] চান্দু মোল্লা বলেন, এর আগে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ধরা পড়েছিলো। ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিগত দু-তিন বছরে আমি দেখিনি বা কিনতেও পারিনি। মাছটি কিনে ঢাকায় পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকি। মুহূর্তের মধ্যে ঢাকার এক বড় ব্যবসায়ীর কাছে বড় ইলিশটি ৩ হাজার টাকা কেজি দরে ৬ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করে দিই। আর ১ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে ১ হাজার ৯৫০ টাকায় বিক্রি করে ফেলেছি।
[৫] গোয়ালন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, এ মৌসুমে কয়েকটি বড় ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে দুই কেজি ওজনের পাওয়া যায়নি বলে জানি। আজই প্রথম জানতে পারলাম ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কথা। তবে আমার ধারণা, এ মৌসুমে এ রকম বড় পদ্মার ইলিশ আরও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পদ্মা নদীতে বড় বড় ইলিশ পাওয়া আমাদের জন্য অনেক সুখবর বটে।
আপনার মতামত লিখুন :