সুজিৎ নন্দী : [২] আগের নিয়মে চলবে গণপরিবহণ। এরকম ঘোষণায় খুশি নন খোদ পরিবহণ চালক ও শ্রমিকরা। তারা বলছেন এতে বাড়বে করোনার ঝুঁকি। একই মত যাত্রীদেরও। তবে বাস মালিক পক্ষ বলছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জোর দেবেন। বিআরটিএ বলছে, সরকারের নির্দেশনা মতই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তারা।
[৩] সূত্র মতে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল গণপরিবহণ। এরপর সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এক আসন বাদ দিয়ে যাত্রী পরিবহণের সুযোগ পায় লোকাল, সিটিং সার্ভিস ও দূরপাল্লার বাসগুলো। বাড়ানো হয় ভাড়াও।
[৪] সেই সিদ্ধান্ত বদলে আগের ভাড়া ও নিয়মে গণপরিবহণ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আসছে মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হবে। কিন্তু রাজধানীতে চলাচল করা বাসের চালক ও শ্রমিকরাই চান না নতুন এই সিদ্ধান্ত। বলছেন এতে করে করোনার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে সবাই। তারা জানান, সবার জন্য এটাই ঠিক আছে। করোনা ঝুঁকি আরও বাড়বে। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি। গাড়ি চালক এবং স্টাফ যারা আছেন তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
[৫] যাত্রীরাও বলছেন, সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে ঝুকি বাড়বে করোনার। যাত্রীরা জানান, বর্তামান যে পরিস্থিতি আছে, সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি। এখন যেভাবে চলছে সবাই, এক সিটে একজন এটাই ঠিক ছিলো। একসিট করে ভাড়া বেশি নিলেও ঠিক আছে।
[৬] একই মত দূরপাল্লার পরিবহণ চালক ও হেলপারদের। তারা জানান, এখন যেমন আছে তাই ঠিক আছে। আগের পরিস্থিতিতে গেলে দেশের ক্ষতি হবে। আরও কিছুদিন পর হলে ভালো হয়। করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখন আমাদের জন্য এবং যাত্রীদের জন্য ঝুঁকি।
[৭] বাস মালিকরা বলছে তারা স্বাস্থ্য বিধির দিকে নজর রাখবেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, পূর্বের ভাড়াতে যখন গাড়ি চালানো হবে, তখন স্বাস্থ্যবিধি একইভাবে মেনে চলা হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনেকেই মানছেন না, তাই আমরা চাই না কারো ওপর অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হোক। বিআরটিএ বলছে, সরকারের নির্দেশনা মতই তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন তারা। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ