ইমরুল শাহেদ : জায়েদ খান আছেন এমন একটি ছবির অনুমোদন চেয়ে পরিচালক শফিক হাসান প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু চলচ্চিত্রের ১৮টি আন্ত:সংগঠন জায়েদ খানকে বয়কট করার কারণে প্রথমে ছবিটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘পরিচালক শফিক হাসানকে জায়েদের অংশগুলো রিশ্যুট করতে বলা হয়েছে এবং সেই শর্তে ছবিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।’ এভাবে আরো একটি ছবি থেকেও বাদ পড়েছেন জায়েদ খান। এর আগে শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান একইসঙ্গে ছয়টি ছবির নিবন্ধন নিয়েছেন পরিচালক সমিতি থেকে।
ছবিগুলোতে জায়েদ খান থাকবেন শোনা গেলে প্রথমে নিবন্ধন আটকে দেওয়া হয়। পরে ছবিগুলোতে জায়েদ খান থাকবেন না নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধন করে পরিচালক সমিতি। এসব নিবন্ধিত ছবিগুলোতে এখন অন্য পরিচালক নেওয়া হচ্ছে। শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পরিচালক এফআই মানিক এবং মালেক আফসারী। তাদের সুবাদে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটিতে আবারো ফিরে আসছেন শাকিব খান। এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
কিছু ছবিতে নায়ক থাকবেন সেলিম খান তনয় শান্ত। তার বিপরীতে নায়িকা নেওয়া হয়েছেন সুব্রত-দোয়েলের মেয়ে দীঘিকে। দোয়েল আজ আর বেঁচে নেই। থাকলে তিনি খুব খুশি হতেন। কারণ দীঘি শিশু শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছে তার মায়েরই পৃষ্ঠপোষকতায়।
সকলে আশা করছেন দীঘিও নায়িকা হিসেবে তার মায়ের মতোই সফল হবেন। যাহোক, সেলিম খানের সঙ্গে মত বিরোধের কারণে শাকিব খান শাপলা থেকে সরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরই সেলিম খান পরিকল্পনা তৈরি করেন কলকাতার দেবকে নিয়ে। কিন্তু শাপলাতে শাকিব খান ফিরে এলেও দেবকে নিয়ে পরিকল্পিত প্রকল্পগুলো ভেস্তে যাবে এমনটা আভাস পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন হচ্ছে জায়েদ খানকে নিয়ে। তিনি শুধু শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নন, প্রযোজক সমিতির সদস্যও। খোরশেদ আলম খসরু বলেছেন, ‘জায়েদ খানকে শিল্পী সমিতি থেকে পদত্যাগ করতেই হবে।’ কিন্তু প্রযোজক সমিতির সদস্য থাকবেন কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে জায়েদ খানের সামনে এখন যে প্রশ্নটি এসে দাঁড়িয়েছে সেটা হলো তিনি কী ক্যারিয়ার চান, না নেতৃত্ব?