কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] এরই মধ্যে চীনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাককে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
[৩] চীনের আগ্রহ ও কূটনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই ভারতের পরিবর্তে প্রথমেই চীনকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন ক‚টনীতিক ও সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
[৪] সময় টিভির কূটনৈতিক প্রতিবেদক এহসান জুয়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, ভারতের জোর আগ্রহ সত্তে¡ও শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য চীনকেই বেছে নিল বাংলাদেশ।
[৫] চীনকে আগে দেয়া হয়েছে, তার মানে এ নয় ভারতকে দেয়া হবে না। ভারত যখনই প্রস্তাব দেবে, তখনি তাদের ট্রায়ালের সুযোগ দেবে বাংলাদেশ।
[৬] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আইসিডিডিআরবি’র সহযোগিতায় চীনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর বাইরেও ভ্যাকসিন নিয়ে যেসব দেশ কাজ করছে তাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
[৭] ভারত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে ভ্যাকসিন আগে আসবে সেটাই আমরা আগে নেব।
[৮] ভারত অনুমতি চাইলে তাদেরও ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া হবে।
[৯] ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলার ঢাকা সফরে ক‚টনৈতিক নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হলেও মূলত করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
[১০] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, টিকা যেখানে পাওয়া যায় তাদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা চুক্তি করা উচিত। তাতে সস্তায় শিগগিরই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
[১১] কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির মতে, বাংলাদেশে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন এবং তা সংগ্রহে কত খরচ হবে কিংবা বিনামূল্যে পাওয়া যাবে কি না এ ব্যাপারে এখনই হিসাব করা প্রয়োজন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :