ডেস্ক রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে প্রলয়ংকরী হারিকেন লরার। এর প্রভাবে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে। তবে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তেমনটা হয়নি বলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, লরা ছিল স্মরণকালের ভয়াবহতম হারিকেন। তবে ক্ষয়ক্ষতি বিপর্যয়ের মাত্রায় পৌঁছায়নি। “এই জন্য আমরা অনেক বেশি স্বস্তি বোধ করছি। গত রাতে আমাদের যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল তাতে এটা পরিষ্কার যে, এই ঘূর্ণিঝড়ের মুখে আমরা টিকে থাকতে পারতাম না। আমাদের চরম বিপর্যয় সহ্য করতে হতো।”
এডওয়ার্ডস জানালেন, এই হারিকেনের প্রভাবে একেবারে ক্ষতি হয়নি এমনটা নয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লুইজিয়ানার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে লুইজিয়ানার উপকূলে হানা দেয় ভয়াবহতার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চতুর্থ ক্যাটাগরির হারিকেন লরা। ভূ-পৃষ্ঠে আঁচড়ে পড়ার পর সেটির মাত্রা কমে যায়, গ্রীষ্ম-মণ্ডলীয় ঝড়ে পরিণত হয়।
অথচ, ২০০৫ সালে তৃতীয় ক্যাটাগরি হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’র আঘাতে লুইজিয়ানায় ১ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তবে গতির দিক থেকে লরার মাত্রা ছিল অনেক, এর আগে লুইজিয়ানা এমন গতির হারিকেন দেখেছিল ১৮৫৬ সালে; ওইবার কয়েকশত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে, লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লরার প্রভাবে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে নিচে ঘরের ওপর গাছ চাপায়। বাকি দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ঘরের মধ্যে কার্বন মনোঅক্সাইড ক্রিয়ায় এবং একজনের মৃত্যু নৌকা ডুবে।
গভর্নর এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ছয় লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানি সরবরাহ লাইনেও কিছু ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছিল, লরার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ মাইল। এর প্রভাবে লুইসিয়ানা ও টেক্সাস উপকূলে ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
সূত্র : দেশ রূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :