শিরোনাম
◈ আসন সমঝোতা নিয়ে চরম বিপাকে জামায়াত, ৩৪৮ আসন চায় শরিকরা ◈ নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষা: বিদায় চান শিবির সভাপতি জাহিদুল, কে ধরছেন হাল? ◈ তারেক রহমানের দেশে ফেরা কেন ভারতের জন্য সুসংবাদ? যা বলল ইন্ডিয়া টুডে ◈ হাসিনার প্রত্যর্পণ প্রশ্নে যা বললেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (ভিডিও) ◈ রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে একজন নিহতের ঘটনায় বিবৃতি ◈ বাসায় ফিরেছেন তারেক রহমান, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ◈ পে স্কেল নিয়ে নতুন কর্মসূচির পথে সরকারি কর্মচারীরা ◈ ১৬ মিনিটের সম্পূর্ণ বক্তব্যে যা বললেন তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ এবার ওড়িশায় ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা ◈ অসুস্থ মাকে দেখে গুলশানের বাসায় ফিরলেন তারেক রহমান

প্রকাশিত : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৮ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেহেদী উল্লাহ: সাজানো বুদ্ধিজীবীর সরবতা

মেহেদী উল্লাহ: একজন দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী মস্তিষ্কে একই বিষয় নিয়ে দুই ধরনের পরস্পর বিরোধী চিন্তা ধারণ করার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর কথনে নৈতিকতার সত্য উপস্থিত থাকলে বুঝতে হবে তিনি দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী। একই বুদ্ধিজীবী সুবিধাবাদের বুলিও আওড়ানোর সক্ষমতা রাখেন। কখনো এমন হতে পারে দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী পরস্পর বিরোধী চিন্তার কোনোটিই আর প্রকাশ করার সুযোগ পান না। করেন না। এতে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি না, বুদ্ধজীবী সুবিধার মধ্যে আছেন নাকি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছেন!

এমন সময়গুলোর সুযোগ নেন একশ্রেণির ব্যক্তি। দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবীর মস্তিষ্কের যে অংশে নৈতিক সত্যের বাইনারি অপজিট সত্য থাকে, সেই সত্য নিয়েই এরা মিডিয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরা সাজানো বুদ্ধিজীবী। এদের মস্তিষ্কে একধরনের চিন্তাই হাজির থাকে, একপাক্ষিক। দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবীর সুবিধাবাদী অবস্থান তারা নিয়ে নেয়, যা একজন দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী প্রকাশ করেন না, মস্তিষ্কে রেখে দিতেন। মিডিয়া জানে পরস্পরবিরোধী চিন্তা ধারণকারী বুদ্ধিজীবী তার দরকার। কারণ যিনি মিথ্যার দিকটা ভালো জানবেন তিনি সত্যের দিকটাও ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিডিয়া বাইনারি অপজিশনের মুখপাত্র থাকতে চায় না। চায় নিয়ন্ত্রণকে স্বীকার করে নিতে। তাই সাজানো বুদ্ধিজীবী মিডিয়ার ছায়াতলে থেকে মানুষকে ছায়া দিয়ে চায়। মিডিয়ার ছায়া সরে গেলে ব্যক্তির স্বরূপ উন্মোচিত হয়।

আর এককালের দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী মুখ বন্ধ রেখে সেই মিডিয়ায় সাজানো বুদ্ধিজীবীর পতন সংবাদ দেখে। এইভাবে মিডিয়া নিজেই নিজের পরস্পর বিরোধী কার্যকলাপ দর্শকদের দেখাতে বাধ্য হয়। একজন দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবীই নৈতিক সত্য প্রকাশ করে মিডিয়াকে দ্বিচারিতার হাত থেকে মুক্তি দিতে পারেন। তাই মিডিয়ার উচিত দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবীর মুখ খোলানো। তাঁদের অবসরপ্রাপ্ত হতে না দেওয়া। দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবীর মস্তিষ্কের সুবিধাবাদি চিন্তা ও নৈতিক সত্যচিন্তার মধ্যে মিডিয়া কাজে লাগাবে নৈতিকটাকে। দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী নৈতিক সত্যকে পরখ করার জন্যই সুবিধাবাদী চিন্তাকে মস্তিষ্কে রাখবেন।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়