শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ০৯:৪৪ সকাল
আপডেট : ২৬ আগস্ট, ২০২০, ০৯:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাহিদ রেজা নূর: সাংবাদিক সম্প্রদায় নির্জীব-নির্বিষ হয়ে কালাতিপাত করছে, খুবই মর্মস্পর্শী ও দুঃখজনক

জাহিদ রেজা নূর: গত মাস পর্যন্ত প্রথম আলোতে চাকরি করতাম বলে চারটি পত্রিকা পেতাম। আমি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। আমি বুঝতে পারছিলাম, পত্রিকা আর আমার দুটো পথ দুটি দিকে বেঁকে গেছে। আগস্ট মাস শুরু হলে দেখলাম, প্রথম আলো আর দেশ রূপান্তর পত্রিকা দুটো দেওয়া হচ্ছে। কেন এখনো আমার বাড়িতে পত্রিকা দিচ্ছে হকার, সেটা বুঝতে পারিনি। তাই প্রথম আলোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালাম, মানবসম্পদ বিভাগ হয়তোবা এ বিষয়টির দিকে নজর দেয়নি। আমি পত্রিকা রাখতে চাই না। এরপরও দেখি প্রতিদিন পত্রিকা আসছে। একবার বোকার মতো ভাবলাম, কর্তৃপক্ষ হয়তোবা আমার ২১ বছরের চাকরি জীবনের প্রতি সম্মান জানিয়ে পত্রিকা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঘটনা সে রকম ছিল না। থাকার কথাও নয়। এটা ছিল একজন সাবেক কর্মচারীর অকারণ কল্পনা।

হকারকে ফোন করেছিলাম যখন, তখন সে বললো, দীর্ঘকাল সাংবাদিকতা করেছি বলে আমার বাড়িতে পত্রিকা আসা উচিত। নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সে আমার জন্য দুটো পত্রিকা বরাদ্দ করেছে। অর্থাৎ, পত্রিকা দুটির বিল আমাকেই দিতে হবে। আমি দেবো। ওর কথা আমার ভালো লেগেছে। যদিও বহুদিন হলো, ছাপা পত্রিকায় কাক্সিক্ষত সাংবাদিকতা দেখি না, তারপরও ক্ষয়িষ্ণু প্রিন্ট পত্রিকার কিছুটা পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে, সেটা ভেবে ভালো লাগছে।

আমার কোনো কোনো বন্ধুর মতো আমি প্রিন্ট পত্রিকার গুনগান গাইবো না। ফেসবুকে পত্রিকাসহ তাদের দেওয়া পোস্টগুলোকে মেকি এবং হাস্যকর বলে মনে হয় আমার কাছে। পত্রিকাগুলোর হৃদয়ে যে করুণ সুর বেজে উঠেছে, তাতে পত্রিকা বা পত্রিকা কর্তৃপক্ষের সাফাই গাওয়ার কোনো মানে হয় না। আমি বরং কিছুদিন পত্রিকা নেবো। তারপর কী করবো জানি না। তবে দীর্ঘদিনের একটা ঐতিহ্যের অবসান হতে চলেছে, সাংবাদিক সম্প্রদায় নির্জীব নির্বিষ হয়ে কালাতিপাত করছে, এই সমস্তটাই আমার জন্য খুবই মর্মস্পর্শী ও দুঃখজনক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়