দীপু তৌহিদুল: যে মৎস্য রাজারে ছুঁতে পারি না, তারে রাজা ডাকতে রাজি নই। রাজারা কোনো আমলেই সাধারণের ছোঁয়ার নাগালে ছিলেন না, এটাই বাস্তবতা। ইলিশ মাছটা মিডিয়ার কারণে আজকে হিট মৎস্য, পাশাপাশি এটি বাণিজ্যিক সিন্ডিকেটের বিষয় বস্তুতে পরিণত। এই অবস্থায় এটার ফিল্মকে ফ্লপ করাতে না পারলে সাধারণের পাতে জাটকা পোনা ছাড়া কিছুই জুটবে না। এইটা তো সত্যি বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। সাংবাদিকরা চাইলে ইলিশের মূল্য বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের মতন হুড়মুড় করে পড়ে যাবে। পাশাপাশি আমাদেরও উচিত ইলিশে মাছের দামের স্ট্যাটাসটা নামাতে আপাতত ক্রয় করা বন্ধ রাখা। এক বছর লাগবে হয়তো সিন্ডিকেটকে লাইনে ফিরিয়ে আনতে। দেশে ইলিশ মাছের নিম্ন মূল্য কেজিতে হাজার টাকায় ফিক্স করে দেওয়া হয়েছে, উপরের কতো উঠবে সেটা আলাপ করার ইচ্ছে নেই। চ্যালেঞ্জ করলাম এই দাম আর কমবে না। যদি কমে তাহলে সকল দায় কাধে তুলে কামরূপ কামাখ্যায় চলে যাবো তপস্যা করার জন্য।
যেহেতু চাষের পাঙ্গাশ মাছটাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিকের হাতের নাগালের মধ্যে রয়েছে, সেহেতু চাষের পাঙ্গাশকেই ‘জাতীয় মৎস্য’ উপাধিটা খোলা মনে দিয়ে দেবার পক্ষে জনমত গড়ে তুলুন। চাইলে চাষের কৈ মাছকেও ‘জাতীয় মৎস্য’র উপাধি দিতে পারেন, যদিও ওটার দাম চাষের পাঙ্গাশের মূল্যর চাইতে কিছুটা বেশি। কৌতুক করতেছি না। সিরিয়াসলি ইলিশ মাছের স্ট্যাটাস কেড়ে নেবার পক্ষে। ইলিশরে খুব ভালা পাই, কিন্তু তার মানে এই না বিনা চাষের নদী আর সাগরের এই ইলিশ দাম আকাশ ছুঁয়ে সাধারণের সাথে মশকরা করবে। কোনো কিছু বলার আগে উত্তর দিন ‘সাগরে প্রাপ্ত ইলিশ ছাড়া অন্য জাতের মাছগুলোর দাম ক্যামন? নদীর ভিন্ন জাতের মাছগুলোর দাম কেজিতে কতো পড়ে?’ এই দামের ফারাক বিচার করতে পারলেই স্পষ্ট হবে ইলিশ আসলে কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের সিন্ডিকেটের খেলার বিষয় বস্তু হয়েছে। নয়-ছয় না করে চাষের পাঙ্গাশকেই ‘জাতীয় মৎস্য’ উপাধি দিয়ে দিন। ফেসবুক থেকে
