এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে কামরুল ইসলাম (১০) ও শিফা আক্তার (১৪) দুই ভাই-বোনকে জবাই করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ির থেকে দু'টি পৃথক কক্ষ থেকে মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী কামাল উদ্দিনের ছেলে মেয়ে।
[৩] এদিকে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহত কামরুল ও শিফার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এসে পৌঁছেছে।
[৪] পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে কামরুলের পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে কামরুলের খোঁজ করে এলাকায় মাইকিংও করেন। পুলিশকেও নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। পরে রাতে নিজ ঘরের দু'টি রুমের দুই খাটের নিচে কামরুল ও শিফার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
[৫] মরদেহের সাথে থাকা নিহতদের বোনের দেবর আসিফ জানান, কামরুল নিখোঁজ হওয়ার পর যখন তাকে খোঁজা হচ্ছিল তখনও তার বোন শিফা পরিবারের সদস্যদের সাথে ছিল। কামরুলকে খোঁজ করার সময় বাড়ি অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। রাতে বাড়ির আলাদা দুইটি কক্ষের খাটের নিচে কামরুল ও শিফার মরদেহ দেহ দুইটি দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
[৬] বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জবাই করে তাদেরকে হত্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি। কেনো এবং কীভাবে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটন করতে ইতিমধ্যে কাজ করছে পুলিশ। সম্পাদনা: জেরিন অহমেদ