খালেদ মুহিউদ্দীন: মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই ছাপা, মুদ্রণ ও বিতরণ নিয়ে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কয়দিন ধরে ভাবছি। শ্রদ্ধা, বিনয় বা শিক্ষার মতো ভালো ভালো বিষয়গুলো কি আসলেই আমাদের সঙ্গে যায়? আমরা সারাজীবন ধরে আসলে কী কিছু শিখি। একে বা তাকে ধরে ম্যানেজ করে নিজের স্বার্থ হাসিল করা ছাড়া। স্বার্থই বা কী বুঝি আমরা। শুধু টাকা, টাকা ছাড়া কীই বা চিনি। দাঁতাল শুয়োরের নিষ্ঠায় আমরা বিষ্ঠাতে নাকমুখ ডুবিয়ে টাকা খুঁজি, শকুনের মতো যে কারও মাথার উপর ঘুরে ঘুরে উড়ে চোখ রাখি কখন সে দুর্বল, কখন তার চোখ খুবলে নেওয়া যাবে।
আমাদের শ্রদ্ধা, আমাদের স্মৃতি তাই শোকসভায় বৈঠার মতো চালানো দুই কনুইয়ে আটকে যায়, ক্যামেরা না থাকলে ফুল দিতে কখনও হাত সরে না কারো। আমাদের কোনো অতীত নাই, বর্তমান দিয়ে আমরা প্রতি ক্ষণে অতীত নির্মাণ করি, প্রয়োজনে পাল্টে ফেলি তাও। আমার শ্রদ্ধার উৎস আমার মন নয়, মন আমি চিনি না আমার লক্ষ্য শুধু ক্ষমতাকে খুশি করা। তারপর তা বদলে নিতে চাই কড়িতে আর কাঞ্চনে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমি না হয়শ্রদ্ধার নামে চাটুকারিতা করে আপনাকে ধোঁকা দেই, আপনি কেন বোঝেন না।
আপনার সভায় কেন তবে এত তঞ্চক প্রবঞ্চক বিদূষক। আপনি কেমনে পারেন জাহান্নামের এই বাগানে বসে পুষ্পের হাসি হাসতে। আমাদের জানা উচিত, বঙ্গবন্ধুকে জানানোর নামে যারা চুরি করে, পাল্টে দেয় প্রিন্টার্স লাইন আর যারা দেয় অনুমোদন, তারাই ২০২০ সালের মুশতাক-ফারুক-রশিদ। প্রতিবারই তাদের গুলিতে সিঁড়িতে উপুড় হয় ঝাঁজরা বাংলাদেশ। ফেসবুক থেকে