রাহুল রাজ: [২] বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে প্রথম জয় পেতে টাইগারদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ পর্যন্ত। ১৯ বছর আগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়ে ক্রিকেটের বিশ্ব মঞ্চে প্রথম জয় পেয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল।
[৩] নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ এবং ৭ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। অনেক প্রতীক্ষার পর তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম জয়ের স্বাদ পায়। এডিনবার্গের গ্রেঞ্জ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
[৪] স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৬ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন খালেদ মাসুদ, মেহরাব হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ফারুক হোসেন এবং আকরাম খান। ষষ্ঠ উইকেটে প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়েন তখনকার বাংলাদেশ দলের সেরা স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং অফস্পিনার নাইমুর রহমান দুর্জয়।
[৫] তাদের ৬৯ রানের জুটিতে একশো’র কাছাকাছি পৌঁছায় টাইগারদের স্কোর। ৫৮ বলে ৩৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান নাইমুর। ইনিংসের বাকি পথ লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাটিয়ে দেন নান্নু। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক অর্ধশততে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নান্নু।
[৬] ১১৬ বলের ইনিংসে ৬টি চার মারেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জবাবে ২২ বল বাকি থাকতেই ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশ ২২ রানের জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পায়।
[৭] অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য এই ম্যাচে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু হন ম্যাচ সেরা। সেদিনের ম্যাচ জয়ের অনুভুতি নিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ওই জয়টা ছিল আমার জীবনের সেরা একটি মুহুর্ত। ম্যাচ শেষ সবাই যখন উল্লাস করছিলাম তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ফোন দিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানিয়েছিল। সেদিনের সেই সুখকর স্মৃতি কখনই ভুলতে পারবো না।