পীর হাবিবুর রহমান: একুশের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ছিলো মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামীলীগ নেতৃত্বকে উড়িয়ে দেওয়ার বর্বরতা। আইভী রহমান সহ কতো প্রাণের রক্তে ভেসেছে সেদিনের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ! দেশ বিমর্ষ স্তম্ভিত হয়েছিলো। হাসপাতাল গুলিতে ঠাই নাই ঠাই নাই অবস্থা। ঘটনার খবর পেয়ে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত পথে মানুষের লাশ, চারদিকে আর্তনাদ। সেই দিনের বর্ণনা দেওয়ার মতন নয়। কী বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।
পরদিন সচিবালয়ে কোনো মন্ত্রী যাননি। বিশ্ব নেতৃত্বও শোকার্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লাশ টানছেন, আহতদের নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ছুটছেন। দেশবাসী চেয়েছিলো বিচার, তদন্ত। কিন্তু এর পরেই বিএনপি নেতাদের অশ্লীল বক্তব্য সংসদের ভেতরে বাইরে শুরু হয়। এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়নি। বিচারের পথে, তদন্তের পথে না গিয়ে জজমিয়ার নির্লজ্জ নাটক সাজিয়েছিলো। এই ঘটনা সমঝোতার রাজনীতিকেও হত্যা করেছিলো। সেটি ছিলো সংসদীয় সমঝোতার রাজনীতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া। একেকটা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র হত্যাকাণ্ড ঘটায় কিছু মানুষ আর তার পাপের শাস্তি বহন করে জাতি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এটাই ছিলো ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। সেদিন সারাদেশ প্রশাসন-সহ ছিলো বিএনপি-জামায়াত আর আজ আওয়ামী লীগ। যতোদূর চোখ যায় কেবল আওয়ামীলীগ। কতো বছরের পার্থক্য? ফেসবুক থেকে