শিরোনাম
◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা ◈ হাইকমিশনারকে হুমকি, নয়াদিল্লির প্রেস নোট প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ ◈ দেশের ৮ বিভাগে গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ এ কে খন্দকারের জানাজায় প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ ◈ বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে ‘হুমকি’ দেওয়া নিয়ে মুখ খুলল ভারত ◈ গণমাধ্যমে হামলা সরকারের দুর্বলতা, মবোক্রেসি বরদাশত নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ ◈ সন্ধ্যায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধ.র্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২০, ০৯:২৯ সকাল
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২০, ০৯:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপন্ন বুনো রঙ্গন

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুরের হাতিয়াবো এলাকায় অবস্থিত আরণ্যকে বেড়াতে গিয়েছি অসংখ্যবার। এই বাড়ি আমার দেখা বাগানবাড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাড়িটি আসলে এমনভাবে তৈরি যে, সেটি বাড়ি নয়, বাগানও নয়, নিরেট বন বলাই উত্তম। কারণ, আরণ্যক নামক এই বাড়ির স্বত্বাধিকারী প্রকৃতিপ্রেমী সোহেল আহমেদ বাড়িটির চারপাশে কোনো সীমানাপ্রাচীর তৈরি করেননি। কেন এই ব্যবস্থা? তিনি আসলে শালবনের সবটুকু স্বাদই পেতে চান। ভালোলাগার আরেকটি কারণ নির্জনতা। আরণ্যকের আশপাশে কোনো লোকালয় নেই। তাই আমরা যখন-তখন আরণ্যকে গিয়ে শালবনে ঢুকে পড়ি। অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করি বনের বহুবিধ পরিবর্তন। প্রায় ৫০০ প্রজাতির গাছপালা লতাগুল্মে সমৃদ্ধ শালবন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইকোসিস্টেমও বটে। এখানে প্রায় সপ্তাহান্তেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করে নতুন কোনো ফুল, ফল বা পাতার পরিবর্তন।

বসন্তের প্রথমভাগে বনের ভেতর পায়ে হাঁটা পথের ধারে বেশ কয়েকটি ছোট গুল্ম দেখেছিলাম। নিতান্তই অবহেলা অনাদরে বেঁচে আছে। কোনো কোনোটি পায়ের নিচে পড়ে মৃতপ্রায়। ডালপালায় ফুলের রেশমাত্র নেই। কিন্তু বসন্তের শেষ দিকে বনে ঢুকেই থমকে দাঁড়াতে হলো! ছোট ছোট গাছগুলো পুষ্প-প্লাবনে ভাসছে। আমাদের দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শিক্ষার্থী শাহ্‌ খান। প্রকৃতি-ভ্রমণে ক্লান্তিহীন তিনি। তার আরণ্যকের মুগ্ধতার সঙ্গে যুক্ত হলো এই বুনোফুলের প্রাচুর্য ও সুবাস। ফুল ও পাতার গড়ন অনেকটা রঙ্গনের মতোই। কয়েকদিন পর মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানেও ফুলভর্তি কয়েকটি গাছ দেখি। প্রথমে মনে হয়েছিল আবাদিত রঙ্গন। এটি আসলে আমাদের প্রকৃতিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো বুনো রঙ্গন (Ixora cuneifolia)। শনাক্ত করতে গিয়ে প্রথমে যা ভেবেছিলাম তার সঙ্গে মিলে গেল। আমার বিস্ময়ের ঘোর আর কাটে না! এতদিন দেখেছি আমাদের চারপাশের সব রঙ্গনই আবাদিত। দেশে বুনো রঙ্গন থাকতে পারে, কখনও ভাবিনি।

আশার কথা হলো, শুধু এটিই নয়, দেশে আরও পাঁচ-ছয় প্রজাতির বুনো রঙ্গন দেখা যায়। আলোচ্য রঙ্গন কোথাও কোথাও বেত্তফুল বা কেসুয়াগাছ নামেও পরিচিত। চিরসবুজ গুল্মশ্রেণির ছোট গাছ। পত্র উপপত্রযুক্ত, উপপত্র সূত্রাকার, পত্রবৃন্ত ১০ মিমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পত্রফলক আয়তাকার। পাতা ১৫ থেকে ২২ সেমি লম্বা, ডিম্বাকৃতির। মঞ্জরিদণ্ড খাটো, মঞ্জরিপত্র বল্লমাকার। ফুলের রঙ সাদা, ৩ সেমি লম্বা। বৃতি ও পাপড়ি মসৃণ, নল সরু, খণ্ডক, আয়তাকার। পরাগধানী বহির্মুখী। ফল মটর আকৃতির ও লাল। ফুল ও ফলের মৌসুম মার্চ থেকে জুন। এরা সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের তথ্যমতে, বর্তমানে গাছটি বিপন্ন।মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়