রেজাউল করিম: [২] সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় গাছ কেটে বিক্রি করছেন ওসি। বন বিভাগের নিয়মনীতিকে অমান্য করে নিজের ইচ্ছেমত সরকারী গাছ বিক্রির উদ্যেশে কর্তন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিককে বাঁধা দিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহা উদ্দিন ফারুকী।
[৩] শুত্রুবার সকালে বেলকুচি থানা চত্বরে একটি গাছ কেঁটে ফেলা দেখে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক জহুরুল ইসলামের দৃষ্টিগোচর হয়। যার ফলে সে থানা চত্বের প্রবেশ করে ছবি তুলে বাহিরে আসলে থানার কনস্টেবলে মাধ্যমে তাকে অফিস রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও বলেন আপনাকে ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছে কে।
[৪] এ বিষয়ে সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে থানার সামনে গিয়ে জানতে পারি ওসি সাহেবের নেতৃত্বে থানা চত্বরে একটি গাছ কাঁটা হয়েছে। পরক্ষনে তা মুঠো ফোনের মাধ্যমে ছবি তুলে ফেলি। তার প্রেক্ষিতে থানা অফিসার ইনচার্জ বাহা উদ্দিন ফারুকী আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নানাবিদ প্রশ্নের সম্মুখীন করেন। তিনি আমাকে বলেন আপনাকে ছবি তোলার অনুমতি প্রদান করেছে কে? সেই সাথে আমার পেশাগত দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমি বিগত ২৪ বছরেরও অধিক সময় ধরে বেলকুচি উপজেলায় সুনামের সাথে প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত রয়েছি। কিন্তু তিনি কেন আমাকে এভাবে হেয় প্রতিপন্ন করলেন তা আমার জানা নেই।
[৫] বেলকুচি থানা অফসার ইনচার্জ (ওসি) বাহা উদ্দিন ফারুকী বলেন, গাছটি ঝড়ে ভেঙ্গে গিয়েছিলো তাই কেটে রাখা হয়েছে। তবে এটা বিক্রি করা হয়নি। আর যে ছবি তুলতে এসেছে তিনি সাংবাদিক কিনা তা আমি চিনিনা। তাই জিজ্ঞাসা করা হয়েছে মাত্র। এ নিয়ে আপনারা যা খুশি করতে পারেন।
[৬] এ বিষয়ে জেলা সহকারী বন সংরক্ষক কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, থানায় গাছ কাটা সম্পর্কে আমরা কেউ জানিনা। আর গাছ কাটতে হলে বন বিভাগের একটি ডি ফরম আছে সেটা পুরন করে আবেদন করতে হবে কিন্তু বেলকুচি থানা থেকে এমন কোন ফরম পুরন করা হয়নি।
[৭] এদিকে ওসি গাছ কেটে বিক্রি করার ঘটনায় বেলকুচির সচেতন মহলের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে।