নুর উদ্দিন : [২] সুনামগঞ্জের ছাতকে করোনা ভয়াবহতার মধ্যে পর পর ৩ দফা বন্যায় গ্রামীন সড়ক, কৃষি ও মৎস্য খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। করোনার প্রার্দুভাব ও বন্যায় এ জনপদের অবস্থা এখন বেহাল। উপজেলার ২০টি সড়কের ৬৫কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত।
[৩] প্রবল বন্যার স্রোতে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মাস খানেক সময় ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ছাতক-দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ছোট বড় ব্রীজ ও কালর্ভাট। এছাড়াও বন্যায় কৃষি ও মৎস্য বিভাগে ক্ষতির পরিমান ১ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও বেসরকারি হিসেবে এ দুটি বিভাগে ক্ষতি আরও অনেক বেশি।
[৪] এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কে ক্ষতির পরিমান ৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। অনেক সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, বন্যায় আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমান ২শ’হেক্টর এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে আরও ২শ’হেক্টর। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি ১শ’৭০হেক্টরের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ২০হেক্টর।
[৫] মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের পরিমান ২শ’১২টি এবং বন্যায় পানিতে ভেসে যাওয়া মাছ ও পোনার পরিমান ৩৯.৫০মেট্রিকটন। যার মুল্য ৫৯ লাখ ২৫হাজার টাকা। এছাড়াও অবকাঠামোগত ক্ষতির পরিমান ৬ লাখ টাকাসহ মোট ক্ষতির পরিমান ৬৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
[৬] গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান বলেন, করোনায় মানুষ চরম দুর্ভোগে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরমধ্যে পর পর বন্যায় রাস্তাঘাট, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
[৭] উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডি) দপ্তরের প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মুনসুর মিয়া বলেন, পর পর বন্যায় ছাতকের বিভিন্ন সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সড়ক গুলো সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
[৮] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খাঁন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকা করে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
[৯] উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার দে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে চুড়ান্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী