শামীম আহমেদ: শহিদুল আলম বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদ করা জন্য অন্য যেকোনো একটি দিন বা মাধ্যম বেছে নিতে পারতেন। কিন্তু ১৫ অগাস্ট জাতির জনকের মৃত্যুদিনে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের শোক বার্তায় তার জবাব দেখে বোঝা যায় এটি দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বার প্রতি সুপরিকল্পিত হামলার অংশবিশেষ। শহিদুল আলম তার জবাবের সাথে বিতর্কিত সংগঠন অধিকারের প্রস্তুতকৃত যে তালিকাটি সংযুক্ত করেছেন তা দেখলে বোঝা যায় তারা দীর্ঘদিন ধরে এই কাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।
কাদের মোল্লার ফাঁসি চেয়ে শাহবাগ আন্দোলনের ব্লগারদের বিরুদ্ধে অবস্থান, নিরাপদ সড়ক চাই ও কোটা আন্দোলনে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির পক্ষে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত ও আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা, নিজের বাবা-মায়ের ছবি নিয়ে কেরামতি করে স্বাধীনতা পুরস্কারকে হেয় করা, বঙ্গবন্ধুর জায়গায় জিয়াউর রহমানের মিথ্যা কণ্ঠস্বর জুড়ে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার তথ্য বিকৃতি করা, নিউইয়র্ক কেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের পতনের চেষ্টা করা এবং সর্বশেষ একটি প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকের অফিশিয়াল বক্তব্যের জবাবে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য ও তথ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা থেকে এটি স্পষ্ট যে শহিদুল আলম বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন একজন দেশদ্রোহীকে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশে বাধা দেয় না। কিন্তু সাথে সাথে এটিও মনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে আমরা বারবার ক্ষমা করে দিতে পারি না।
মনে রাখা দরকার যে, শহীদুল আলমের মতো সুশীল মানুষ যারা শুদ্ধ বাচনভঙ্গি ও পরিচ্ছন্ন পোশাকে অভিজাত এলাকায় ক্লাসিকাল সঙ্গীত বা সাহিত্যের চর্চা করে তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেননি। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন ‘আঞ্চলিকতায় দুষ্ট’ সাধারণ কৃষক শ্রমিক যাদের মুখের ভাষা আটপৌরে এবং পরনের কাপড় মলিন। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার জন্য আমাদের সেইসব সাধারণ মানুষদের উপরই ভরসা রাখতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে শহীদুল আলমের মতো দুর্জনদের কাছ থেকে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :