এএফএম মমতাজুর রহমান: [২] বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দামেও গরুর অন্যতম প্রধান খাবার খড় পাওয়া যাচ্ছে না। অনান্য গো-খাদ্যের দামও চড়া। কোনো উপায় না পেয়ে গরুুর মালিকেরা কচুরিপানা, বাঁশপাতা ও লতাপাতা সংগ্রহ করে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন। গো-খাদ্যের অগ্নিমূল্যে কৃষক ও গৃহস্থেরা তাঁদের গবাদিপশু নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। অনেকে কম দামে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন।
[৩] সাম্পতিক সময়ে অতিবৃষ্ঠির কারণে কৃষকদের মজুত করা খড় সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
[৪] উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের কৃষক বজলুর রহমান বলেন, মজুদ করা গো- খাদ্য একটানা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নষ্ঠ হয়ে গেছে। ১ পোন (৮০টি) খড়ের দাম ৪০০ টাকা। ভুসির কেজি ৩০ টাকা, চিটাগুড়, ধানের গুড়া, খুদ, খৈলসহ সব রকম গো-খাদ্যের দাম বেশ চড়া। এ দ্রবমূল্যের বাজারে নিজেরাই খেয়ে বাঁচতে পারছিনা, গরু- ছাগলকে কী খেতে দেব? গরু-ছাগলগুলো খাবারের অভাবে রোগা হয়ে মরতে বসেছে। অনেকে পানির দামে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছে।
[৫] সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর গ্রামের রুস্তম আলী বলেন,দ্বিগুন দামেও গো-খাদ্য মিলছে না। বাজার থেকে গো-খাদ্য কিনতে না পারায় খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। ১৭ আগষ্ট সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে গিয়ে দেখ যায় অনেক কৃষক হাটে গো-খাদ্য কিনতে এসে তা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। যা আমদানি হয়েছিল তা চড়া দামে কেউ কেউ কিনে নিয়ে গেছে।
[৬] শহরের রেলগেট চত্বরে খড় বেচা-কেনা স্থানে খড় বিক্রেতা মোমিনুল ইসলাম বলেন, জেলার দুপচাচিয়া থেকে খড় কিনে এনে সান্তাহারে বিক্রি করছেন। প্রতি ভ্যান খড় (চার থেকে পাঁচ পোন) ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় খড়ের দাম এবার বেশি বলে জানান তিনি।
[৭] আদমদীঘি উপজেলা প্রনীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান গো-খাদ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিনা মূল্যে গো-খাদ্য বিতরন করা হবে। দুই-এক মাসের মধ্যে এ সংকট কেটে যাবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :