সিরাজুল ইসলাম: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বকারটিলা গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটির নাম রুনা। তিন মাস আগে সে জন্ম নেয়। এরপর থেকেই স্বামী রুবেল বেপারীর (২৮) সঙ্গে কাকলী আক্তারের (২৩) দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। শুক্রবার তাকে মারধর করে মেয়েকে রেখে তাড়িয়ে দেয় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
[৩] রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কাকলী স্বামী রুবেল বেপারী, শ্বশুর ছহের বেপারী, শাশুড়ি রুবি বেগম ও ননদ চায়না বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ রুবি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি জানান, রাতে শিশুটি বাবার সঙ্গেই ঘুমিয়েছিলো। সকাল ১০টার দিকে তারা দেখতে পান শিশুটি মারা গেছে।
[৪] রুবেল ও কাকলীর প্রেম ছিলো। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। পরে উভয়ের বিয়ে মেনে নেয়। কাকলী গ্রামের বাড়িতে থাকতো আর রুবেল ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতো। কাকলীর অভিযোগ, কন্যাসন্তান হওয়ায় স্বামী ও তার পরিবার চরম ক্ষুব্ধ ছিলো। তুচ্ছ কারণেও তাকে শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো।
[৫] রুনার ঠান্ডাজনিত সমস্যায় বৃহস্পতিবার সকালে ফরিদপুর হাসপাতালে যান কাকলী। সেদিন দুপুরে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন রুবেল। বাড়িতে এসে স্ত্রীকে না পেয়ে উত্তেজিত হয়ে দ্রুত ছুটে যান হাসপাতালে। সেখানে সবার সামনে কাকলীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। পরদিন কাকলীর মা নাজমা বেগম ও দাদি জহুরা বেগমের সামনে কাকলীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় রুবেল ও তার বাড়ির লোকজন।
[৬] গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-তায়াবীর জানান, শিশু হত্যার অভিযোগে তার মা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। শাশুড়ি রুবি বেগমকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি সব আসামি পলাতক। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :